BJP Nabanna Abhiyan: দলের ফেসটুন, ব্যানার বাঁচাতে গিয়ে বিজেপি-র কর্মী-সমর্থকদের হাতে বেধড়ক মার খেলেন তৃণমূল নেতা
BJP Nabanna Abhiyan: সূত্রের খবর, তমলুকে একের পর এক বাস আটকে দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে, নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মীরাও বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন। হলদিয়া-মেচেদা ১১৬নং জাতীয় সড়কে মহিষাদলের কাপাসএড়্যা, নন্দকুমার এবং তমলুকের সোনাপেতা টোলপ্লাজার কাছে বিজেপির অবরোধ চলছে।
তমলুক: নবান্ন অভিযানে ঘিরে ধুন্দুমার পরিস্থিতি। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দিতে জেলাগুলিতে থেকে আসতে শুরু করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। এ দিকে, পুলিশের বিরুদ্ধে সকাল থেকেই বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন গেরুয়া কর্মীরা। একই অভিযোগ উঠে এল পূর্ব মেদিনীপুর থেকে। নবান্নমুখী গেরুয়া কর্মী সমর্থকদের একের পর এক বাস আটকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এর মধ্যে ঘটল বিপত্তি। এক তৃণমূল নেতাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল।
সূত্রের খবর, মুখ্যমনত্রীর জেলা সফরের আগে রাস্তায় ব্যানার ফেসটুন লাগিয়েছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। অভিযোগ, সেই ব্যানার, ফেসটুন ছিঁড়ে ফেলন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। তখন সেই পতাকা রক্ষা করতে গিয়েছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। তখনই মারমুখি জনতা বেধড়ক মারেন তাঁকে। এরপর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন।
উল্লেখ্য, তমলুকে একের পর এক বাস আটকে দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে, নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মীরাও বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন। হলদিয়া-মেচেদা ১১৬নং জাতীয় সড়কে মহিষাদলের কাপাসএড়্যা, নন্দকুমার এবং তমলুকের সোনাপেতা টোলপ্লাজার কাছে বিজেপির অবরোধ চলছে। এর জেরে ব্যাপক যানজট তৈরি হয়েছে গোটা রাস্তায়। তমলুকে পুলিশের বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, বাসে উঠে খুঁজে-খুঁজে কর্মীদের নামিয়ে মারধর করা হয়েছে। সেই ছবি ধরা পড়েছে টিভি ৯ বাংলার ক্যামেরায় কোথাও দেখা যাচ্ছে বিক্ষোভকারীর পরনের পোশাক খুলে নেওয়া হয়েছে। কোথাও আবার টেনে হিঁচড়ে তোলা হচ্ছে প্রিজন। কোথাও বা মাটিতে ফেলে বিক্ষোভকারীকে বেধড়ক লাঠিপেটা করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
বস্তুত, আজ মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযান। নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ থেকে গরু পাচার মামলা, কয়লা পাচার মামলা। বিভিন্ন দুর্নীতি মামলায় ইডি, সিবিআইয়ের অভিযানে জেরবার রাজ্যের শাসকদল। যথেষ্ট বিড়ম্বনায় তৃণমূল। এই অবস্থায় আজ বড়সড় রাজনৈতিক আন্দোলনে নামছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। মিছিল করে এদিন নবান্ন ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীরা। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে বিজেপি কর্মীরা কলকাতায় আসতে শুরু করেন।