Digha: দিঘা যাচ্ছেন ? তাহলে একবার ঢুঁ মেরে আসতেই পারেন এই উৎসবে
Digha: মূলত, রাজ্য জুড়ে মিষ্টি শিল্পের বিকাশের বিষয় আলোচনা হয়। এই মিষ্টি উৎসবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা মিষ্টি ব্যবসায়ীদের এক ছাতার তলায় নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়াও মিষ্টি শিল্পে আধুনিকীকরণ, দিঘায় জগন্নাথ ধামের বেশ কিছু স্টল দেওয়া সহ নানা বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করা হয়।
দিঘা: এক-দু’দিনের আনন্দের জন্য ঘুরতে যেতে ভালবাসেন দিঘায়? ইতিমধ্যে দিঘার আকর্ষণ ফেরাতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। আর এবার বছরের শুরুতেই নয়া আকর্ষণ সেখানে। জানুয়ারি মাসের শুরুতেই অর্থাৎ ৭ই জানুয়ারি থেকে ৯ই জানুয়ারি দিঘায় শুরু হলো তিনদিনের মিষ্টি উৎসব।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক থেকে দিঘায় মিষ্টি উৎসবের কথা জানিয়েছিলেন। উৎসবে তিনি তার প্রতিনিধি মন্ত্রী মানসরঞ্জন ভুঁইঞা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা শাসক পূর্ণেন্দু মাজি, স্থানীয় বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রী অখিল গিরি, কাঁথি পৌরসভার চেয়ারম্যান সুপ্রকাশ গিরি, সভাপতি রামনগর ১পঞ্চায়েত সমিতি নিতাই চরণ সার, বিডিও রামনগর ১ সহ বিশিষ্টজনরা।
মূলত, রাজ্য জুড়ে মিষ্টি শিল্পের বিকাশের বিষয় আলোচনা হয়। এই মিষ্টি উৎসবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা মিষ্টি ব্যবসায়ীদের এক ছাতার তলায় নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়াও মিষ্টি শিল্পে আধুনিকীকরণ, দিঘায় জগন্নাথ ধামের বেশ কিছু স্টল দেওয়া সহ নানা বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করা হয়। পাশাপাশি রাজ্য থেকেও ৬ হাজারের বেশি মিষ্টি ব্যবসায়ী অংশ পশ্চিমবঙ্গ নেবে এই তিন দিনে বলে জানা যাচ্ছে।
মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির তরফ থেকে এর আগেও এই ধরনের মিষ্টি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু এবার দিঘার বিশ্ববাংলা কনভেনশন হলে এই মিষ্টি উৎসব এই প্রথম। সূচনা লগ্নে দাবি ওঠে সৈকত শহরে ‘মিষ্টির হাব’ গড়ে তোলার। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি দিঘা পর্যটকে পূর্ণ থাকে। তার মাঝে রসগোল্লা,রাজভোগ,কালোজাম, চমচম,রসমালাই,প্রাণহরা,সন্দেশ, ছানামুখী,সরপুরিয়া,ছানাভাজা, কালাকান্দ,গুড়কলসি, গুড়ের রাজভোগ, সহ নানা এই ধরনের মিষ্টির পরিবেশন উৎসব বাড়তি আকর্ষণ। সূচনা লগ্ন থেকে উৎসবের সাফল্য নিয়ে আশাবাদী আয়াজকরা। এই উৎসবে ৫০-এর বেশি স্টল থাকবে। যেখানে বিভিন্ন মিষ্টি তৈরির মেশিনপত্রের পাশাপাশি উপকরণ এর প্রদর্শিত হবে।