ময়না: নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এখন গণনার পালা। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিভিন্ন বুথের ব্যালট রাখা হয়েছে গণনা কেন্দ্রগুলিতে। সেখানে মোতায়েনও রয়েছে পুলিশ। বিভিন্ন জায়গায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল গণনাকেন্দ্র থেকে ব্যালট বাক্স লুট করতে পারে। এই আশঙ্কা ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে রাজ্যের বিভিন্ন বিরোধী দল। তা রুখতে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের গণনা কেন্দ্রের বাইরে প্রহরা দিতেও দেখা গিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার প্রজ্ঞানন্দ বিদ্যাপীঠে হবে ভোটের গণনা। ওই স্কুলের বাইরে রীতিমতো পাহাড়া দিচ্ছিলেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। রবিবার রাতে হঠাৎ সেই স্কুলের বাইরে খবর রটে ব্যালট বাক্সে কারচুপি করা হচ্ছে। এই ভুয়ো খবর রটতেই সেখানে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়। যথেষ্ট উত্তেজনা তৈরি হয় সেখানে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ করে। এমনকি পথচলতি মানুষকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
গণনাকেন্দ্রের বাইরে ব্যালটে কারচুপির ভুয়ো খবরকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল ময়নায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এই ঘটনায় পথ চলতি কিছু মানুষজনকেও পুলিশ বেধড়ক মারধর করে বলেও অভিযোগ উঠেছে। সেখানে উপস্থিত এক বিজেপি কর্মী বলেছেন, “এখানে জমায়েত হয়েছি। তৃণমূলের কিছু লোক এখানে ব্যালট বাক্স লুটের চেষ্টা করেছিল। আমরা প্রতিবাদ করতেই রাজ্যের পুলিশ আমাদের মারধর করেছে।” বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির এক প্রার্থী বলেছেন, “আমাদের লোকজন জড়ো হয়েছিল। আমরা ব্যালট পাহাড়া দিতে এসেছিলাম। আমাদের মারধর করেছে। লাঠিচার্জ করেছে। বহু লোককে মারধর করেছে। ”
গণনাকেন্দ্রে সিভিক পুলিশও রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সেখানকার বিজেপি নেতারা। যদিও হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ভোট সংক্রান্ত কোনও কাজে সিভিকদের থাকার কথা নয়। পুলিশের লাঠিচার্জে বেশ কয়েক জন বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের ময়না হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। তবে লাঠিচার্জ বা ব্যালট লুটের বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি পুলিশ।