পূর্ব মেদিনীপুর: পুকুরে স্নান করা নিয়ে ঝামেলা। অভিযোগ তা থেকেই তৃণমূল ও বিজেপি প্রার্থীর মধ্যে কার্যত হাতাহাতির উপক্রম। দুই দলের সমর্থকদের বিরুদ্ধে একে অপরের উপর চড়াও হওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। নন্দীগ্রামের এই ঘটনায় আহত হয়েছেন ৫ জন। খবর পেয়ে যান নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। দলীয় প্রার্থীর ভাল চিকিৎসার জন্য বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন তিনি। একইসঙ্গে বলেন, প্রার্থীর সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন নিয়ে আদালতে পাঠাবেন।
নন্দীগ্রাম -২ ব্লকের খোদামবাড়ি-১ গ্রামপঞ্চায়েত এলাকা। সেখানকার ভেটুরিয়ায় দুই পরিবারের মধ্যে রবিবার পুকুর নিয়ে ঝামেলা বাধে। বিবাদের কারণ গ্রাম্য হলেও যে দুই পরিবারের মধ্যে ঝামেলা, সেই দুই বাড়ি থেকে দুই দলের প্রার্থী হয়েছেন। ভেটুরিয়া ১২২ নম্বর বুথে তৃণমূল প্রার্থী স্বপনকুমার মণ্ডল ও বিজেপি প্রার্থী নমিতা কয়াল পাত্রের বাড়ির মধ্যে ঝামেলা হয়। পারিবারিক পুকুর নিয়ে ঝামেলা শুরু হলেও ভোটের বাজারে তাতে রাজনীতির রং লাগতে বেশি সময় লাগেনি। একেবারে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। তাতে দুই পক্ষেরই বেশ কয়েকজন আহত হন। তাতে দুই দলের প্রার্থীও আছেন।
তৃণমূল প্রার্থী স্বপনকুমার মণ্ডলের দাবি, “আমি দুপুরে পুকুরে স্নানে গিয়েছিলাম, সেখানে বিজেপির দুষ্কৃতীরা বাধা দেয়। আমি প্রতিবাদ করায় আমার উপর লাঠি, বাঁশ নিয়ে চড়াও হয়। চিৎকার শুনে আমার কিছু কর্মী ছুটে আসে। ওরাও মার খায়। ওদের ১০-১২ জন ছিল।”
অন্যদিকে নমিতা কয়াল পাত্রের জা মামনি পাত্রের কথায়, বিজেপির প্রার্থী হওয়ায় আক্রমণ। তিনি বলেন, কেউ না কেউ তো ভোটে দাঁড়াতই। তার জন্য এরকম আক্রমণ তো ঠিক নয়। একইসঙ্গে মামনি বলেন, তৃণমূলের কাউকে আক্রমণ করা হয়নি।
তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ও দু’জনকে স্থানীয় রেয়াপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যদিকে বিজেপির প্রার্থী নমিতা কয়াল পাত্রকে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও পরে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠিয়েছি। কারণ এখানে ভরসা করা যায় না। আর আমার বিজেপির প্রার্থী এত কমা নয়, ওই পচা হাসপাতালে গিয়ে পাঁচদিন ধরে পড়ে থাকবে পাঁচদিন ধরে। বেসরকারি হাসপাতালে পাঠালাম। এরপর এফআইআর হবে। হাইকোর্টে নিয়ে গিয়ে রিট করাব। প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন প্রার্থীদের সুরক্ষা দেওয়ার কথা।”