ময়না : সাম্প্রতিককালে বগটুইয়ের ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশকে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। আর তারপর থেকেই জেলায় জেলায় বোমা উদ্ধার হয়েছে। দেখা গিয়েছে পুলিশি সক্রিয়তা। এখনও বিভিন্ন জায়গায় বোমা উদ্ধারের মতো ঘটনা ঘটছে। এরই নবতম সংযোজন হল পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না। তল্লাশিতে এক হাজারের বেশি তাজা বোমা উদ্ধার করল ময়না থানার পুলিশ। ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। উল্লেখ্য, ভোট পরবর্তী সময়ে বোমাবাজিতে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে ময়না। শনিবার সকালে অভিযান চালিয়ে এক হাজারের বেশি তাজা বোমা উদ্ধার করেছে ময়না থানার পুলিশ। বোমা উদ্ধারের পর বোম্ব স্কোয়াডকে খবর পাঠানো হয়। প্রচুর পরিমাণে বোমা উদ্ধার হলেও ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এত পরিমাণে তাজা বোমা কীভাবে ওই এলাকায় এল, এমন প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বোমাবাজি, গুলি সহ একাধিক অসামাজিক কাজের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছিল ময়না থানা এলাকার বাকচা সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। শনিবার সকালে ময়নার বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোড়ামাহাল গ্রামের বিজেপি নেতা নাড়ু মণ্ডল ও সঞ্জয় তাঁতির বাড়ির সামনে হোগলা জঙ্গল থেকে ১২ ড্রাম ভর্তি তাজা বোমা আটক করে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া বোমা সংখ্যা প্রায় এক হাজারের বেশি। প্রচুর পরিমাণ তাজা বোমা উদ্ধারের ঘটনায় তমলুক সাংগঠনিক বিজেপির জেলার সহ সভাপতি আশিস মণ্ডল বলেন ” পুলিশ প্রশাসনকে একাধিকবার অনুরোধ করেছি। আজ সকালে এক হাজারের বোমা উদ্ধার হয়েছে বলে শুনেছি। সারা ময়নাতে তল্লাশি চালাতে ১০ লাখেরও বেশি তাজা বোমা উদ্ধার হবে। বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা মামলায় পুলিশ জেলে পুরে রেখেছে। যে কয়েকজন সুস্থ রয়েছে, তারা বাইরে রয়েছেন। কয়েকজন কার্যকর্তা এলাকায় রয়েছেন। তাহলে এত বোমা এল কোথা থেকে ? তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই বোমাগুলি মজুত করে রেখেছিল “।
অন্যদিকে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, “সিপিএম থেকে বিজেপিতে যাওয়া কিছু হার্মাদ ওই বোমা মজুত করে রেখেছিল। আজকে তার প্রমাণ পুলিশ পেল। আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করেছি।” ময়না থানার এক পুলিশকর্মী বলেন, “তাজা বোমা উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। বম্ব স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়েছে। আগামী কয়েকদিন ধরে লাগাতার তল্লাশি চালানো হবে।”