পূর্ব মেদিনীপুর: দলীয় কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শনিবার রণক্ষেত্র চেহারা নেয় পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর। বিজেপি ও তৃণমূলের দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুরুতর জখম অন্তত ছ’জন। পরিস্থিতি এতটাই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে নামানো হয় র্যাফ ও পুলিশবাহিনী। ঘটনাস্থলে পৌঁছান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ দিন, তিনি সাফ-সাফ জানিয়ে দেন, ‘পুলিশ ও শাসকের এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ফের আদালতে যাব।’
পাশাপাশি এদিন শুভেন্দু ২০২৪ -এ বাংলায় লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের দাবি জানান। ভূপতিনগরের সভাস্থলে দাঁড়িয়ে অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে বিজেপি নেতা বলেন, ‘আমি এখানে বলে দিয়ে যাচ্ছি, যেভাবে বাংলার পুলিশকে দিয়ে অপকর্ম করা হচ্ছে তাতে ২৪-এ একই সঙ্গে লোকসভা এবং বিধানসভার ভোট হবে। এবং ফল প্রকাশের পর নবান্নে উড়বে গেরুয়া পতাকা।’
বস্তুত, ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনার প্রতিবাদে এদিন ভূপতিনগরে কর্মসূচি ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। বজরংবলির মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করারও কথা ছিল শুভেন্দুর। সেই মোতাবেক মাধাখালিতে জড় হয়েছিলেন বিজেপি কর্মীরা। তখনই দু’পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তাতে তৃণমূল-বিজেপির ৬ জন গুরুতর আহত হন। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন স্থানীয় জুখিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান অম্বিকেশ মান্না। তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনেছে।
বিজেপির অভিযোগ, এদিন বিরোধী দলনেতার সভাকে কেন্দ্র করে আগত গাড়িগুলিকে জোর করে আটকাচ্ছিল তৃণমূল কর্মীরা। সেখানেই পাল্টা প্রতিরোধ গড়তে গিয়ে পরস্পরের মধ্যে সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে দুই রাজনৈতিক দল। ঘটনার জেরে এলাকায় ছড়ায় তীব্র উত্তেজনা। পরে ঘটনাস্থলে আসেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকে বজরং বালির মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপনের পর প্রতিবাদ সভায় যোগ দেন। এরপর দলীয় কর্মীদের আশ্বস্ত করে শুভেন্দু বলেন, ‘অপেক্ষা করুন, এদের পতনের সময় চলে এসেছে। যেভাবে পুলিশকে অপব্যবহার করা হচ্ছে, তাতে ২৪ সালে এদের জমানা খতম হয়ে যাবে। নবান্নে উড়বে গেরুয়া পতাকা।’ হুঁশিয়ারির সুরে বলেছেন, ‘একদিন বাড়িতে থাকার পর বিজেপি কর্মী সমর্থকদের পুলিশ তাড়িয়ে দিয়েছে। মমতার পুলিশ এখন দলদাসে পরিণত হয়েছে। আমরা আদালতে যাব। আগামী দিনে এখানকার বিধায়ক থেকে বিজেপি জেলা সভাপতিদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে। এখানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। আগামী মাসে প্রথম সপ্তাহে আমি আবার আসব। আমি যা বলি সেটা করি, করব আমরাই।’