Mid Day Meal: মিড ডে মিলে দুর্নীতির অভিযোগে সরব, প্রতিবাদী সহকারী শিক্ষকের বদলি হতেই বিক্ষোভ স্কুলে

Kanishka Maity | Edited By: জয়দীপ দাস

Apr 08, 2023 | 6:16 PM

Mid Day Meal: সূত্রের খবর, দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রথম সরব হতে দেখা গিয়েছিল অনিমেষবাবুকে। এরইমধ্যে তাঁর বদলির নির্দেশ আসায় তা নিয়ে বাড়তে থাকে চাপানউতর।

Mid Day Meal: মিড ডে মিলে দুর্নীতির অভিযোগে সরব, প্রতিবাদী সহকারী শিক্ষকের বদলি হতেই বিক্ষোভ স্কুলে
ব্যাপক উত্তেজনা স্কুলে

Follow Us

নন্দীগ্রাম: স্কুলের শিক্ষকের বদলিকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে (Nandigram)। এদিকে ওই স্কুলেরই টিচার ইনচার্জ বিরুদ্ধে আবার দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের সুবদি মঙ্গেশ্বরী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুখ খোলায় কি অন্যত্র বদলি শিক্ষককে? উঠছে সেই প্রশ্ন। ঘটনার সূত্রপাত কোথায়? নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের সুবদি মঙ্গেশ্বরী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন অনিমেষ দাস। কয়েক মাস আগে এই স্কুলের (School) টিচার ইনচার্জ হিসেবে যোগ দেন মনোরঞ্জন জানা। 

তারপরই স্কুলের মিড ডে মিল-সহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে স্কুলের টিচার ইনচার্জ মনোরঞ্জন জানার বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রথম সরব হতে দেখা গিয়েছিল অনিমেষবাবুকে। এরইমধ্যে তাঁর বদলির নির্দেশ আসায় তা নিয়ে বাড়তে থাকে চাপানউতর। ওই শিক্ষকের বদলি কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না অভিভাবকরা। শনিবার সকালে স্কুল চত্বরে এসে হাজির হন শতাধিক গ্রামবাসীরা। শুরু হয় বিক্ষোভ।

স্থানীয় বাসিন্দা শেখ মামুদ বলেন, “স্কুলের শিক্ষক অনিমেষবাবুকে সরিয়ে দিতে চাইছেন স্কুলের ইনচার্জ মনোরঞ্জন বাবু। স্কুলে মিড ডে মিলে দুর্নীতির অভিযোহ রয়েছে স্কুলের ইনচার্জের বিরুদ্ধে। আমরা চাই স্কুলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অনিমেষবাবুকে এই স্কুলে রাখুন। তাঁর বদলির নির্দেশের বিরুদ্ধেই আমাদের এই প্রতিবাদ।” স্থানীয় বাসিন্দাদের সাফ অভিযোগ, স্কুলে ঠিক মতো মিড ডে মিলের খাবার দেওয়া হয় না পড়ুয়াদের। হেড মাস্টারের বিরুদ্ধে রয়েছে দুর্নীতির অভিযোগ। তারপরেও বিনা দোষে বদলি করে দেওয়া হয়েছে অন্য শিক্ষককে। 

শিক্ষক অনিমেষ দাস বলেন, “আমার কাছে একটা বদলির নির্দেশ এসেছে। হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো হয়েছে সেটা। এই স্কুলে আমি ১০  বছর ধরে চাকরি করছি। আমার নামে কোনও অভিযোগ নেই। অভিভাবকরা থেকে গ্রামবাসীরা চাইছেন আণি এই স্কুলে থাকি। আগে যারা এই স্কুলে ইনচার্জ ছিলেন,  তাঁরা কোনও সমস্যা করেননি। নতুন স্কুলের ইনচার্জ আসার পরেই একাধিক সমস্যা ও দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। সেই সঙ্গে আমরাও সমস্যা সম্মুখীন হয়েছি। উনি আসার পর থেকে স্কুলের মিড ডে মিল সহ একাধিক ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় আমাকে বদলি করে দিচ্ছে। আমার কোনও অন্যায় থাকলে আমার পাশে অভিভাবক বা গ্রামবাসীরা দাঁড়াত না।”

Next Article