পূর্ব মেদিনীপুর: রবিবার রাজ্যের ১০৮টি পুরসভায় ভোটগ্রহণ। এর মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের ‘হাইভোল্টেজ’ তিন পুরসভা এগরা, কাঁথি এবং তমলুক। এক সময় বলা হত, এইসব পুর এলাকায় একচ্ছত্র অধিকার চলে অধিকারীদের। যদিও এ জেলার রাজনৈতিক সমীকরণে এখন অনেকটাই বদলের হাওয়া। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদানের পর সেখানে গেরুয়া মাটিও শক্ত হয়েছে। তবে তৃণমূল পুরভোট নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। তাদের দাবি, বিজেপি এখানেই কোনও দাগই কাটতে পারেনি। অন্যদিকে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন, “যদি কোনও ভাবে নির্বাচনে ভোট লুঠের চেষ্টা করা হয়, তা হলে রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে প্রতিরোধ করবে মানুষ। দ্বিতীয় নন্দীগ্রাম হবে।” রবিবার তিন পুরসভার ৫৫টি আসনে নির্বাচন রয়েছে। রাজ্য পুলিশেই ভোট হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত। তবে বিজেপির তাতে ভরসা নেই। তাই কোথাও কোনও ‘দুর্নীতি’ হলে রুখে দাঁড়াবে বলেই জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
যদিও এ বিষয়ে মন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, “নন্দীগ্রামে সন্ত্রাস করা লোক উনি। তাই এমন মত ওনার। আমরা ভোট লুঠ করতে যাব না। মানুষ আছেন আমাদের সঙ্গে। আমরা চাই শান্তিপূর্ণ ভোট। কোথাও কোনও সন্ত্রাস যেন না হয়। কিন্তু শুভেন্দুবাবুরা বাইরে থেকে লোক ঢোকাচ্ছেন। ভোট লুঠ করার চক্রান্ত বা ছাপ্পা মারার, বুথ জাম করার চক্রান্ত বাইরে থেকে লোক এনে ওরা করছে। শুভেন্দুবাবু কাঁথিতে যত মিছিল করেছেন, সবই বাইরে থেকে লোক এনে। ওনার লক্ষ্যই ছাপ্পা মারা। কাঁথি, এগরার পুর এলাকার আশেপাশে তাঁদের রেখে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছেন। শুক্রবারই কাঁথিতে বাইরের লোক ঢোকানো হয়েছিল। আমরা পুলিশকে বলেছি তারা ব্যবস্থা নেবে। উনি নন্দীগ্রাম করে দেবেন কী অন্য গ্রাম করে দেবেন, তা দেখা যাবে।”
বিজেপি নেতা নবারুণ নায়েকের দাবি, “শুভেন্দুবাবু তো বলেছেন যদি ভোট লুঠ হয় তবে প্রতিরোধ হবে। ভোট যদি লুঠ না হয়, যদি ভোট শান্তিপূর্ণ হয় তা হলে তো কিছুই হবে না। তৃণমূলের এ নিয়ে এত কথা বলার তো কিছুই নেই। আমাদের কাছে খবর আছে বিভিন্ন জায়গায় গুন্ডা মস্তানকে বন্দুক দিয়ে জড়ো করা হচ্ছে। একের পর এক নাম দিয়েছি। কোথায় কোথায় লোক লোকানো আছে, হাসপাতালে কাদের শোওয়ানো আছে সবই জানা। পুলিশ গিয়ে নিমতৌড়িতে হাইওয়েতে নাকা চেকিং করছে। অথচ তমলুকের ভিতর এত লোক ঢোকানো, পুলিশের সে দিকে নজর নেই।”
আরও পড়ুন: Anis Khan Death: বাম ছাত্র যুবদের মিছিল ঘিরে রণক্ষেত্র পাঁচলা! আটক মীনাক্ষি, রক্তাক্ত পুলিশ কর্মীও