পূর্ব মেদিনীপুর: জেলায় বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ। মোকাবিলায় বিশেষ উদ্যোগ স্বাস্থ্য দফতরের! প্রতি বছরেই এই সময়ে রাজ্যে জুড়ে ডেঙ্গি নিয়ে চিন্তার কারণ হয়ে ওঠে স্বাস্থ্য দফতরের। ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলা প্রশাসনগুলিকে ইতিমধ্যেই কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ইতিমধ্যেই লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। সেইমতো পৌর এলাকার পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকাকে ডেঙ্গি মুক্ত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন পৌর এলাকায় ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা দিয়েছে। শুধু পৌর এলাকায় নয়, গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেও ডেঙ্গির প্রকোপ লক্ষ্য করা গিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিভাস রায় জানান, জেলার সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গির প্রকোপ কোলাঘাট, তমলুক , শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লক ও হলদিয়াতে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় জুড়ে ডেঙ্গি প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা করেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডক্টর বিভাস রায় বলেন, “রাজ্যের তুলনায় পরিসংখ্যানের দিক থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কম। কিন্তু গত বছরের তুলনায় এবার ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা জেলায় বেশি।”
ডেঙ্গি মোকাবিলায় সাধারণ মানুষকে সচেতনতার পাশাপাশি ড্রেন নালা পরিষ্কার ও আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ চলছে। আশাকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেঙ্গি আক্রান্ত কেউ রয়েছেন কিনা, তার স্ক্রিনিংয়ের কাজ করছেন বলে জানান কাঁথি পৌরসভার চেয়ারম্যান সুপ্রকাশ গিরি। তিনি বলেন, “আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে সচেতন করছি। কনজারভেন্সি ও পৌর স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করছে আলাদা আলাদা ভাবে। পৌরসভার হাই ড্রেনগুলিতে গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়েছে বহু জায়গায়। এখনও পর্যন্ত ১টি কেস পাওয়া গেছে আমাদের পৌর এলাকায়।”
তমলুক পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান লিমামাভই রায় বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি পৌর এলাকা পরিষ্কার করার পাশাপাশি মানুষকে সচেতন করছে। গাপ্পি মাছ ছেড়েছি। কিন্তু এত বড় পৌরএলাকা হওয়ার জন্য সমস্যা হচ্ছে।”
জানা যাচ্ছে, পূর্ব মেদিনীপুরে এ পর্যন্ত ৭৮ জনের ডেঙ্গি ধরা পড়েছে। বর্ষা শুরুতেই গতবারের থেকে জেলায় প্রায় দেড় গুণ বেড়েছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। বর্ষার শুরুতেই ডেঙ্গি নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে প্রচার চালানোর পাশাপাশি বিভিন্ন পৌরসভার ড্রেনগুলিতে আগেই ছাড়া হয়েছে গাপ্পি মাছ।