পূর্ব মেদিনীপুর: নোটিস দিয়ে দ্রুত বিল্ডিং ভেঙে ফেলার নির্দেশ জেলা শাসকের।বর্ষাকালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় প্রতিবছর বন্যার কবলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। গত বছর জেলায় বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন খাল সংস্কারের। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লক, তমলুক ব্লক, কোলাঘাট ব্লক ও পাঁশকুড়া ব্লকের মোট ১৩ টি খাল সংস্কারের। গত নভেম্বর মাসে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাজী খাল কাটার নির্দেশ দেন অভিনব টেন্ডারের মাধ্যমে।
টেন্ডারে জেলা প্রশাসনের তরফে সাফ জানানো হয় কোনও টাকা দেওয়া হবে না। উল্টে খাল সংস্কারের পর যে মাটি উঠবে তা নিয়ে যেতে পারবে টেন্ডারপ্রাপ্তরা। তবে কিছুটা মাটি দিতে হবে জেলা প্রশাসনকেও। সেই মতো টেন্ডার পাওয়ার পরে শুরু হয়, খাল কাটার কাজ। তারপরেও বেশ কিছু জায়গায় বাধা পাওয়ায় খাল কাটার কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
জেলাশাসক বৈঠক করে সব জানিয়ে দেন, খাল কাটার কাজে যারা বাধা দান করবেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তারপর থেকেই ফের শুরু হয়, খাল কাটার কাজ। শুক্রবার শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের মিলন নগর এলাকায় গঙ্গাখালি খাল সংস্কারের কাজ পরিদর্শন করেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি। খাল সংস্কারের কাজ চললেও দেখা যায় খালের একদম পাশেই নতুন বিল্ডিং তৈরি হচ্ছে তাতেই ক্ষুব্ধ হন জেলাশাসক। তিনি আধিকারিকদের কড়া ভাষায় নির্দেশ দেন দ্রুত নোটিশ জারি করে এই বিল্ডিং ভেঙে ফেলার।
যদিও এদিন স্থানীয় এক ব্লকের তৃণমূল নেতা বলেন, “আমরা একাধিকবার ইরিগেশন দফতরে এই অবৈধ বিল্ডিং গুলোর কথা জানিয়েছিলাম। আধিকারিকদের গাফিলতি জন্যই এমন অবস্থা হয়েছে।”
এদিন জেলা শাসক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তমলুকের মহকুমা শাসক দিব্যেন্দু মজুমদার, শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বিডিও, সহ একাধিক আধিকারিকেরা।