Road Accident: পঞ্চমীর বিকেলে গিয়েছিলেন পাত্রী দেখতে, ফেরার পথে ভয়ঙ্কর বাইক দুর্ঘটনা কাড়ল প্রাণ
Egra: শঙ্করের ভাই শুকদেব দাস, কাকা বাদল দাসরা জানান, শঙ্কর তাঁর বন্ধু শুভম পাত্রকে নিয়ে গিয়েছিলেন সাতমাইল এলাকায়। বিকেল বিকেলই পৌঁছে যায় সেখানে, পাত্রীর বাড়িতে কথাবার্তা হয়। মেয়েকেও দেখেন। এরপর বন্ধুর বাইকের পিছনে উঠে বাড়ি ফেরার জন্য রওনা দেন। এগরা ফেরার পথেই ভবানীচকের কাছে বাইক দুর্ঘটনা ঘটে।
পূর্ব মেদিনীপুর: দুর্গাপঞ্চমী। পাত্রী দেখতে যাওয়ার জন্য এর থেকে ভাল দিন আর কী বা হতে পারে, হয়ত ভেবেছিলেন বছর আঠাশের শঙ্কর। বৃহস্পতিবার বন্ধুর বাইকে চেপে দেখতেও গিয়েছিলেন মেয়ে। তবে পাত্রী দেখে আর বাড়ি ফেরা হল না। ভয়াবহ পথদুর্ঘটনা প্রাণ কাড়ল এগরার কৌরদা গ্রামের শঙ্কর দাসের। এদিন রাত ৮টা নাগাদ এগরা-কাঁথি রাজ্য সড়কের ভবানীচকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। উমার বোধনের আগে চারদিক যখন আলোয় আলো, দূরে মণ্ডপে বাজছে ঢাক, দাস বাড়িতে তখন বিষাদের সুর। কান্নায় ভাসছে গোটা পরিবার।
শঙ্করের ভাই শুকদেব দাস, কাকা বাদল দাসরা জানান, শঙ্কর তাঁর বন্ধু শুভম পাত্রকে নিয়ে গিয়েছিলেন সাতমাইল এলাকায়। বিকেল বিকেলই পৌঁছে যায় সেখানে, পাত্রীর বাড়িতে কথাবার্তা হয়। মেয়েকেও দেখেন। এরপর বন্ধুর বাইকের পিছনে উঠে বাড়ি ফেরার জন্য রওনা দেন। এগরা ফেরার পথেই ভবানীচকের কাছে বাইক দুর্ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এগরা থানার পুলিশ। এলাকার লোকজনের সহযোগিতায় শঙ্কর ও শুভমকে উদ্ধার করে এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ততক্ষণে শঙ্করের দেহে আর প্রাণ নেই। শুভমের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। ডাক্তাররা বলেছেন, কলকাতা নিয়ে যেতে।
কৌরদা গ্রামেরই বাসিন্দা শান্তনু নায়েক। তিনি আবার জেলা পরিষদের সদস্যও। খবর পেয়ে শঙ্করদের বাড়ি যান। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। তিনিই জানান, শঙ্কর কাঁথি কোর্টে ক্লার্কের কাজ করতেন। এলাকায় যথেষ্ট সুনাম তাঁর। এমন ঘটনায় স্বভাবতই থমথমে গোটা গ্রাম।