Nandakumar: কোটের নির্দেশে আবারও নন্দকুমারের এক গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন!
Nandakumar: নন্দকুমার ব্লকের শীতলপুর পশ্চিম গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন ২৩ টি। তৃণমূল পায় ১১ টি, সিপিএম ৫টি, বিজেপি ৫ টি এবং নির্দল ২ টি আসন পায়। ত্রিশঙ্কু গ্রাম পঞ্চায়েতে নিজেদের দখলে রাখতে সিপিএমের প্রার্থীকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
পূর্ব মেদিনীপুর: ২০২৩ এর পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হয়েও হল না শেষ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার ব্লকের শীতলপুর পশ্চিম গ্রাম পঞ্চায়েতে দেখা গেল সেই ছবি। হাইকোর্টের নির্দেশে পুনরায় ৬ সপ্তাহের মধ্যে বোর্ড গঠন করতে হবে শীতলপুর পশ্চিম গ্রাম পঞ্চায়েতে। কোর্টের রায় ঘোষণার পর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা। বিরোধীরা বলছেন, তাঁদের নৈতিক জয়। আদালত আছে বলেই বাংলার মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার পাচ্ছেন।
নন্দকুমার ব্লকের শীতলপুর পশ্চিম গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন ২৩ টি। তৃণমূল পায় ১১ টি, সিপিএম ৫টি, বিজেপি ৫ টি এবং নির্দল ২ টি আসন পায়। ত্রিশঙ্কু গ্রাম পঞ্চায়েতে নিজেদের দখলে রাখতে সিপিএমের প্রার্থীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় গত ১১ অগস্ট বোর্ড গঠনের দিন। তৃণমূল বোর্ড গঠন করলেও বোর্ড গঠন নিয়ে বিতর্ক ওঠে। বিরোধীরা আদালতে যায়। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ৬ সপ্তাহের মধ্যে পুনরায় আবার নির্বাচন করে বোর্ড গঠন করা নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশের পর গ্রাম পঞ্চায়েত স্তব্ধ হয়ে পড়ে।
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি সৌমেনকুমার মহাপাত্র বলেন, “আইনের বিপক্ষে আমরা নয়। অপরাধ করলে দল তা মেনে নেবে না। কোর্টের রায় মেনেই আবার নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বোর্ড গঠন। যারা এই রায়কে নিয়ে নাচানাচি করছে, তাদের নিজেদের ঘর আগে দেখুক৷” তিনি আরও বলেন, “বাংলায় সিপিএমের অস্বস্তি খুঁজে পাওয়া যায় না। তারা আবার বড় বড় কথা বলে আর বিজেপি, তারা আগে নিজের ঘর সামলাক। কারণ শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বোর্ড গঠন নিয়ে নিজেদের গন্ডগোল নিয়ে নিজেরাই কোর্টে গিয়েছে। তারা আবার বেশি কথা বলে।”
তবে বিরোধী রাজনৈতিক দল সিপিএমের জেলা সম্পাদক নীরঞ্জন সিহি ও বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য প্রদীপ দাস আদালতের এই রায়কে সাধুবাদ জানিয়েছেন।