Shantikunja: ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চাই’, অধিকারী পরিবারে ফুটছে আরেক কমল?
Shantikunja: রবিবার প্রধানমন্ত্রী ১০৮ তম 'মন কি বাত' অনুষ্ঠান সরাসরি টেলিভিশনে পর্দায় দেখলেন তমলুকের তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী।
কাঁথি: চব্বিশের ‘মহারণের’ আগে কাঁথির ‘শান্তিকুঞ্জে’ কি আবারও ফুটতে চলেছে পদ্ম? তাহলে কি দাদার দেখানো পথেই বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী? রবিবার নিজের সাংসদ অফিসে বসে তিনি যখন প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান শুনলেন, তখন তা নিয়ে রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে। তিনি বললেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ থাকলে করব।’ তাহলে কি লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ তথা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী? প্রশ্নটা রাখা হয়েছিল তাঁর কাছে। উত্তরে মিলল কিছুটা আভাসও।
গত একুশে বিধানসভা নির্বাচনে শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর ভাই কাঁথি পুরসভা দু’বার পুরপ্রধান সৌমেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করেন। কিন্তু বাবা কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী ও ভাই তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী তৃণমূলেই রয়ে গিয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করার পর দু’জন সাংসদকে শাসক দলের কর্মসূচিতে দেখা যায়নি। একুশে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ভোট প্রচারে এগরায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহর সভা ও কাঁথিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় উপস্থিত হন কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী। শিশির অধিকারীকে একাধিক বিজেপি প্রতীকে জেতা বিধায়কের সঙ্গে দেখা গেলেও, কিন্তু তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকে কোথাও দেখা যায়নি। রবিবার প্রধানমন্ত্রী ১০৮ তম ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান সরাসরি টেলিভিশনে পর্দায় দেখলেন তমলুকের তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী।
তমলুকের তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, “২৩ সাল শেষ, ২৪ সাল শুরু। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কী নতুন বার্তা দেন, তার জন্যই শুনলাম। ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যতদিন চেয়ারে আছেন, শোনা উচিত। এটা সরকারি অনুষ্ঠান! তিনি ভাল কথাই বললেন! প্রধানমন্ত্রীর কথা শোনা সারা ভারতবাসীর উচিত। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেলে দেখা করব। আগামী দিনে যদি আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সেটাও শুনব।”
নাম না করে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “নবীন ও প্রবীণ নিয়ে বিতর্ক আছে, সে বিতর্কে আমি যাব না! একজন সাড়ে তিন বছরের জেলখাটা আসামী যে ভাষায় আমার বাড়ির ৫০০ মিটার দূরে মাইক লাগিয়ে গালিগালাজ করে। এগুলো তো শোভনীয় নয়। ”
দিব্যেন্দু অধিকারী ইঙ্গিতপূর্ণ একটি মন্তব্যও করেন। তিনি বলেন, “অনেক তৃণমূলের সাংসদ রয়েছেন, তাঁরা লুকিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সাংসদ হিসেবে যতদিন চেয়ারে আছি ততদিন চেষ্টা করব।”
তবে এ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল নেতৃত্ব। কাঁথি সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন, “কাঁথি-সহ রাজ্যের মানুষ সবই জানে। নিজের সাংসদ পদ বাঁচিয়ে রাখার জন্যই এতদিন নাটক করছিলেন। লোকসভা ভোট দোরগড়ায়, তাই সবটা এবার বেরিয়ে পড়েছে। নির্বাচনে মানুষ এদের যোগ্য জবাব দেব।”