নন্দীগ্রাম: নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের মহম্মদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পদে বসলেন শেখ সুফিয়ানের জামাই শেখ হাবিবুল ওরফে নান্টু। বৃহস্পতিবার ১৮ আসনের মহম্মদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ছিল। সেখানে তৃণমূলের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা। পঞ্চায়েত ভোটে ১২টি আসনে জিতেছে তৃণমূল। ৬টি আসন আসন পেয়েছে বিজেপি। ফলে বোর্ড গঠনের ক্ষেত্রে আপাতভাবে তেমন সমস্যা হওয়ার কথা ছিল না। কিন্তু সুফিয়ানের জামাইয়ের জন্য পথ ততটা মসৃণ ছিল না। কারণ জানা যাচ্ছে, প্রধান পদের দু’জন প্রার্থী ছিলেন তৃণমূলের থেকে। শেখ হাবিবুল ও শাহানওয়াজ। প্রধান পদের জন্য ভোটাভুটিতে হাবিবুল ভোট পেয়েছেন ১২টি।
পদ্ম শিবির থেকেও দাবি করা হচ্ছে মহম্মদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি বোর্ড গঠনে তৃণমূলের প্রধান পদপ্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছে। বিজেপির দাবি, ‘প্রধান হিসেবে ওদেরই দুটি নাম এসেছিল। তখন ওরা ৬টি, ৬টি করে ভাগ হয়ে যায়। আমাদের ৬জন সদস্য প্রত্যেকে তৃণমূলের অফিশিয়াল ক্যান্ডিডেটের বিরুদ্ধে ভোট দেয়। তাই তৃণমূলের অফিশিয়াল ক্যান্ডিডেটের বিরুদ্ধে যে প্রার্থী ছিলেন, তিনি ১২টি ভোটে জিতেছেন।’
যদিও সুফিয়ানের জামাই হাবিবুলের আবার বক্তব্য, তৃণমূলের ১২টি আসন। তাই তিনি জিতেছেন। বলছেন, ‘আমাদের তৃণমূলের ১২টি আসন। তাই তৃণমূলের প্রধান। এখানে নতুন করে আর কিছু বলার নেই। দলের প্রার্থী, দলের থেকে জিতে এসেছি, আজ দলের প্রধান।’ শেখ সুফিয়ানও বলছেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবেই বোর্ড গঠন হয়েছে। তৃণমূলের জয়জয়াকার যেমন হওয়ার কথা, তেমনই হয়েছে।’
তৃণমূলের নন্দীগ্রাম-১ ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গকে আবার বিজেপির সমর্থনে মহম্মদপুরের বোর্ড গঠন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তাঁর জবাব, ‘ভোটে জেতার পর কোনও ব্যক্তি জনপ্রতিনিধি হয়ে যান, তাঁর কোনও রাজনৈতিক পরিচয় থাকে না। আজ মহম্মদপুরে ১৮ জন পঞ্চায়েত সদস্য প্রধান ও উপপ্রধান বাছাইয়ে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁরা কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের পরিচয় নিয়ে তাঁরা সেখানে যাননি। সেখানে ভোটাভুটিতে প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন হাবিবুল। এখানে বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেসের কোনও পার্থক্য আছে বলে মনে করি না।’