মন্দারমণি : করোনা মহামারি পরিস্থিতি কাটিয়ে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে উপকূলের জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি। বসন্তে বেশ কিছুটা লাভেরও মুখ দেখছিল পূর্ব মেদিনীপুরের মন্দারমণি হোটেলের ব্যবসায়ীরা। এরই মাঝে তাঁদের ব্যবসায় আবার ভাঁটা আসতে চলেছে। সমুদ্র সৈকতে দূষণ ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে মন্দারমণি উপকূলের হোটেলগুলির বিরুদ্ধে। এই তালিকায় অন্তত ৫০ টি হোটেলের নাম রয়েছে। এই হোটেলগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ যে হোটেলের ব্যবহৃত জল পরিশোধিত না হয়েই সরাসরি সমুদ্রে এসে পড়ছে। এর ফলে সৈকতে দূষণ ছড়াচ্ছে। তাই এই ৫০ টি হোটল বন্ধ করার নির্দেশ দিল রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।
ব্যবহৃত জল পরিশোধনের জন্য হোটেলেগুলিতে ইপিপি ট্রিটমেন্ট প্ল্য়ান্ট থাকা বাধ্যতামূলক। এই ৫০ টি হোটেলের কোনওটিতেই এই ব্যবস্থা ছিল না বলে জানা গিয়েছে। তাই সৈকত পাড়ে দূষণ ছড়ানোর অভিযোগ ওঠে এই হোটেলগুলির বিরুদ্ধে। দূষণ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে হোটেলগুলিকে শোকজ় নোটিশ দেয় পর্ষদ। নির্দিষ্ট সময়ে তার কোনও উত্তর দেয়নি এই হোটেলগুলি। তাই এই কড়া পদক্ষেপ করল দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।
গত সপ্তাহেই হোটেলগুলি বন্ধের নোটিশ পাঠানো হয়েছে। মন্দারমণি কোস্টাল থানা এলাকাতেই অবস্থিত ওই ৫০ টি হোটেলর বিরুদ্ধে ৭ দিনের মধ্যে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছে। হোটেলগুলি বন্ধ করার ক্ষেত্রে প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দিতে বলা হয়েছে জেলা পুলিশকে। হোটেলগুলির ওপর নজর রাখতে বলা হয়েছে মন্দারমণি কোস্টাল থানাকেও। পুলিশ ছাড়াও আরও ১২টি স্থানীয় দপ্তরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে এই বিষয়ে। মন্দারমণি বিচ হোটেলিয়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দেবদুলাল দাস মহাপাত্র বলেছেন, “বিষয়টি শুনেছি। মানবিক দৃষ্টিতে যাতে ব্যাপারটা দেখা হয় সেই নিয়ে সংস্থাগতভাবে আমরা আবেদন জানাব সরকারের কাছে।”