Student death: সপ্তম শ্রেণির ছাত্রের উদ্ধার দেহ, ঘটনায় গ্রেফতার সিভিক ভলান্টিয়র
Purba Medinipur: পরিবার সূত্রে খবর, শনিবার বিকেলে স্কুলে গিয়েছিল ওই ছাত্রটি। অভিযোগ, সেই সময় সজোরে গালে থাপ্পর মারে স্কুলের শিক্ষিকা। তখনই অজ্ঞান হয়ে যায় ওই ছাত্রটি। পরিবারের দাবি, তারপরেই পরিস্থিতিকে অন্যদিকে মোড় ঘোরানোর জন্যই গলায় গামছা বেঁধে জানালাতে ঝুলিয়ে রাখার নাটক ফাঁদে ওই স্কুলের শিক্ষিকা সহ এক সিভিক ভলান্টিয়ার।

ভগবানপুর: চিপস চুরির অভিযোগ। আত্মহত্যা করেছিল এক নাবালক। সেই ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল এক সিভিক ভলান্টিয়রের। এই ঘটনার কয়েক মাস কাটতে না কাটতেই আবারও খুনের ঘটনায় নাম জড়াল এক সিভিক ভলান্টিয়রের। জানা যাচ্ছে, বেসরকারি স্কুলে সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্র রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় নাম জড়িয়েছে ভগবানপুর থানার ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের।
পরিবার সূত্রে খবর, শনিবার বিকেলে স্কুলে গিয়েছিল ওই ছাত্রটি। অভিযোগ, সেই সময় সজোরে গালে থাপ্পর মারে স্কুলের শিক্ষিকা। তখনই অজ্ঞান হয়ে যায় ওই ছাত্রটি। পরিবারের দাবি, তারপরেই পরিস্থিতিকে অন্যদিকে মোড় ঘোরানোর জন্যই গলায় গামছা বেঁধে জানালাতে ঝুলিয়ে রাখার নাটক ফাঁদে ওই স্কুলের শিক্ষিকা সহ এক সিভিক ভলান্টিয়ার। গতকাল মৃত ছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে ভগবানপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয় চারজনের নামে।
তাঁদের মধ্যে রয়েছেন তিনজন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা এবং আর একজন রয়েছেন ভগবানপুর থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ার। তিনি পার্ট টাইম শিক্ষকতার কাজ করতেন। পুলিশ সূত্রে দাবি, অভিযোগের ভিত্তিতে ওই স্কুলের শিক্ষক ও এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে কাঁথি আদালতে পাঠানো হয়েছে। এবং সম্পূর্ণ ঘটনা তদন্ত শুরু হয়েছে ভগবানপুর থানার পুলিশ।
মৃতের মা বলেন, “আমার বাচ্চার গালে চড় মেরেছিল। ও অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল। তারপর গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছে। এরপর আরও একটা বাচ্চা দেখে সেটা দাদাকে জানায়। ওকে আমরা হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানেই চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। আমি চাই ওরা শাস্তি পাক। যেমন আমার কোল খালি করেছে, তেমনই যেন ওদের কোল খালি হয়।”
