মহিষাদল : কাঁথি পৌরসভার গ্রিন সিটি মিশনে দুর্নীতির অভিযোগে চাপ বাড়ছে শান্তিকুঞ্জের উপর। সাক্ষী হিসেবে নোটিস পাঠানো হয়েছে কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীর বড় ছেলে কৃষ্ণেন্দু অধিকারী এবং তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর স্ত্রী সুতপা অধিকারীকে। গ্রিন সিটি মিশন দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার রাতেই কাঁথি পৌরসভার এক ইঞ্জিনিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাতিস্তম্ভ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে এ দিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। বলেন, “আমি এই বিষয়ে কোনও উত্তর করব না। বিচারব্যবস্থা বিষয়টি দেখবে।”
বুধবার সন্ধ্যায় মহিষাদলে গুরু পূর্ণিমায় রথযাত্রার এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে রথের রশিতে টান দেন শুভেন্দু অধিকারী, এরপর মন্দিরে গিয়ে সন্ধ্যারতি দেন তিনি। তারপর বাদ্যযন্ত্র সহ নাম সংকীর্তনেও অংশ নেন তিনি। এর পাশাপাশি এ দিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মদন মিত্রের মেট্রো ভবনের সামনে বিক্ষোভ প্রসঙ্গে জানান, “যদি হিম্মত থাকে ২১ জুলাই মেট্রো বন্ধ রেখে দেখাক। এই রাজ্যে সবকিছুই তো বন্ধ করে দিয়েছে। আজ একটাও নতুন বিমানবন্দর হয় না এই রাজ্যে। এখানে কোনও নতুন প্রকল্প হয় না। পশ্চিমবঙ্গকে ধ্বংস করেছে এরা। তাই ২১ তারিখ থেকেই মেট্রো বন্ধ করে দিক। ভাল বার্তা যাবে।”
এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “মাথা উঁচু আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামে হারিয়েছি। এবার রাজনৈতিকভাবে বাংলা-ছাড়া করব।” উল্লেখ্য, ২০১৯ সাল পরবর্তী সময় থেকেই কালীঘাট এবং অধিকারী পরিবারের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছিল। এরপর ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুর কলেজ মাঠে ঘাসফুল শিবির ছেড়ে পদ্ম শিবিরে যোগ দেন মমতার প্রাক্তন সেনাপতি তথা রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তারপর থেকেই বিভিন্নভাবে শান্তিকুঞ্জের অধিকারী পরিবারের উপর চাপ বাড়ানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ তুলেছে পদ্ম শিবির। সম্প্রতি কাঁথি বাতিস্তম্ভ দুর্নীতি মামলায় আরও তৎপর রাজ্য। অভিযোগ রয়েছে, গ্রিন সিটি প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন হাই মাস্ট বাতিস্তম্ভ, বাতিস্তম্ভের সৌন্দর্যায়ন এবং প্রকল্পের আওতায় অন্যান্য সৌন্দর্যায়নের কাজে আর্থিক দুর্নীতি হয়েছিল। সেই মামলার তদন্তে সাক্ষী হিসেবে অধিকারী পরিবারের দুই সদস্যের ডাক পড়েছে।