‘সমবায় আন্দোলন হোঁচট খাচ্ছিল,’ সভাপতির অধিকার খোয়ালেন শুভেন্দু!

TV9 Bangla Digital | Edited By: সৈকত দাস

Aug 02, 2021 | 8:13 PM

Suvendu Adhikari: সোমবারই কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্ক মামলায় বড় জয় পেয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আদালতের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান থাকছেন তিনিই। আবার এদিনই কন্টাই কো-অপারেটিভ ইউনিয়নের সভাপতির পদ থেকে অপসারিত হলেন বিরোধী নেতা।

সমবায় আন্দোলন হোঁচট খাচ্ছিল, সভাপতির অধিকার খোয়ালেন শুভেন্দু!
ফাইল চিত্র

Follow Us

পূর্ব মেদিনীপুর: সোমবারই কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্ক মামলায় বড় জয় পেয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আদালতের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান থাকছেন তিনিই। আবার এদিনই কন্টাই কো-অপারেটিভ ইউনিয়নের সভাপতির পদ থেকে অপসারিত হলেন বিরোধী নেতা।

সোমবার সমবায় আন্দোলনের পথিকৃৎ প্রফুল্লচন্দ্র রায় জন্মদিন। আর এদিনই কন্টাই কো-অপারেটিভ ইউনিয়নের সভাপতির পদ থেকে অপরাসারিত করা হল শুভেন্দু অধিকারীকে। দীর্ঘ ৯ বছর, ২০১২ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত শুভেন্দু এই সভাপতির পদ সামলেছেন। দুটি মহকুমা মিলে মোট ৯৫০টি সমবায় সমিতি এই ইউনিয়নের আওতাধীন। সদস্য সংখ্যা প্রায় ৪ লক্ষ। সেই ইউনিয়নের সভাপতির পদ থেকে এদিন সরানো হল শুভেন্দুকে।

এদিন ইউনিয়নের মোট ১৫ সদস্যের মধ্যে ১৪ জনের সর্বসম্মতিক্রমে তাঁকে সরানো হয়েছে। সদ্য সমাপ্ত একুশের নির্বাচনে ফের ক্ষমতায় ফিরেছে। অন্যদিকে একদা মমতার রাজনৈতিক সতীর্থ, প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু এখন তাঁদের অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। এতদিন অরাজনৈতিক ক্ষেত্র হিসাবে নিজের ক্ষমতার বলে কন্টাই কো-অপারেটিভ ইউনিয়নের পদ ধরে রেখেছিলেন তিনি। এবার সেই ক্ষমতা থেকে থেকে তাঁকে পদচ্যুত করল শাসক দল, এমনটাই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।

যদিও তোড়জোড় শুরু হয়েছিল বেশ কয়েকদিন আগেই। গত জুলাই মাসে সংশ্লিষ্ট পদ থেকে তাঁর অপসারণের দাবি করে আবেদন করেছিলেন কো-অপারেটিভ ইউনিয়নের ১২ জন ডিরেক্টর। তার পর এদিন সমবায় আইন মেনে বৈঠকে হয়। বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী ছাড়া বাকি ১৩ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে একজন ডিরেক্টর ফোনে শুভেন্দুর অপসারণে সম্মতি দেন।

পরিচালন সমিতির সদস্যের লিস্ট

জানা গিয়েছে, গত ৬টি বৈঠকে শুভেন্দুবাবু যোগদান করেননি, তাঁর অনুপস্থিতির কারণ দেখিয়ে সকল সদস্যদের সর্বসম্মতি ক্রমে এই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গৃহিত হল। কাঁথি সমবায় ইউনিয়নের সম্পাদক হরিসাধন দাস অধিকারীর কথায়, ৬টি বৈঠকে উপস্থিত হননি শুভেন্দুবাবু। এর জন্য আন্দোলন হোঁচট খাচ্ছিল। তাই সর্বসম্মতিক্রমে তাঁকে অপসারণ করা হয়েছে। তবে এর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই বলে দাবি তাঁর।

যদিও বিজেপির কাঁথি সভাপতি (সংগঠন) অনুপ চক্রব্রর্তীর দাবি, বিষয়টি স্রেফ রাজনীতি। এর পিছনে রয়েছে তৃণমূলের প্রত্যক্ষ মদত। আরও পড়ুন: ‘গতকাল কথা হয়েছে বাবুলের সঙ্গে’, সৌগতের মন্তব্যে সাংসদের ‘অলভিদা’-য় জল্পনা

Next Article