পূর্ব মেদিনীপুর: বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। জায়গায় জায়গা বিজয়া সম্মিলনী থেকেই সেই ভোটের দামামা বাজিয়ে দিচ্ছে শাসক-বিরোধীরা। চ্যালেঞ্জ, পাল্টা চ্যালেঞ্জে সরগরম বাংলা। রবিবার কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির বিজয়া সম্মিলনী ছিল। সেই মঞ্চ থেকেই তৃণমূলকে তুলোধনা করতে শোনা গেল নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে। ছত্তীসগঢ়ের এক সভা থেকে নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছেন, আরও ৫ বছর বিনা পয়সায় রেশন দেওয়া হবে। আর এই ঘোষণা তৃণমূলের কাছে ‘ভোটের চমক’। এ প্রসঙ্গে এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী খোঁচা দেন তৃণমূলকে। বলেন “মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়ে তৃণমূলের কী? গোয়াতে গো হারান হেরেছে ওরা। ত্রিপুরায় নোটার থেকেও কম ভোট পেয়েছে। বেল পাকলে কাকের কী?”
শুভেন্দুর বক্তব্য, তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরা একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ। পর পর জেলে যাচ্ছেন। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, “অর্ধেক লোক জেলের ভিতর চলে গিয়েছে। বাকি অর্ধেক লোক যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। বিজেপি সরকার যতক্ষণ না পশ্চিমবঙ্গে আসছে, ততক্ষণ মানুষের যন্ত্রণা লাঘব হবে না। বিচার ব্যবস্থাও চেষ্টা করছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে দুর্নীতিকে উপড়ে ফেলার জন্য।”
জেলা তৃণমূল সভাপতি ও এগরা বিধানসভার বিধায়ক তরুণ মাইতি বলেন, “বিনা পয়সায় রেশন দেওয়ার কথাটা তো উনি নির্বাচনী সভা থেকেই বলেছেন। আর আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যতদিন উনি ক্ষমতায় ততদিন বিনা পয়সায় রেশন দেবেন। আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা কিন্তু রাজনৈতিক ঘোষণা নয়।”
এদিনই শুভেন্দু অধিকারী নাম করে চ্যালেঞ্জ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শুভেন্দু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসুন। গুনে গুনে হারাব। দেড় লক্ষ ভোটে তমলুকে, তিন লক্ষ ভোটে কাঁথিতে।” যদিও এ নিয়ে রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি বলেন, “বিধানসভা ভোটে আমরা কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে ৩০-৩৫ হাজার ভোটে পিছিয়ে ছিলাম। কাঁথি লোকসভার জেলা পরিষদের ভোটটাকে যদি আমরা যোগ-বিয়োগ করি তাতে আমরা প্রায় ৬৫ হাজার ভোটে এগিয়ে আছি।”