কাঁথি: পঞ্চায়েত ভোটের রেশ কাটতে না কাটতেই লোকসভা ভোট নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে। সব রাজনৈতিক দলই চাইছে জনসংযোগ বজায় রাখতে। এর জন্য বিজয়া সম্মেলনীকে হাতিয়ার করছে রাজ্যের শাসক তৃণমূল থেকে বিরোধী বিজেপি। বিজয়াক সম্মিলনীর মাধ্যমেই এলাকাবাসীর কাছে পৌঁছে যেতে চাইছেন সে জেলার নেতারা। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে রাজ্যের মন্ত্রী অখির গিরি। দুই দলের প্রথম সারির সব নেতাকেই দেখা গিয়েছে পুজো মিটতেই বিজয়া সম্মেলনে অংশ নিতে। এই বিজয়া সম্মেলনের মাধ্যমে লোকসভা ভোটের ঘর গোছানোর কাজ সেরে ফেলতে চাইছেন নেতারা।
রাজ্যের কমবেশি অধিকাংশ জায়গাতেই কোন্দল রয়েছে শাসক দলের অন্দরে। কিন্তু সেই দ্বন্দ্বকে পিছনে ফেলে লোকসভা ভোটের আগে দলীয় কর্মীদের একজোট করতে চাইছেন নেতৃত্বরা। সে জন্যই বুথ কমিটি, ওয়ার্ড বা অঞ্চল কমিটি, টাউন বা ব্লক ও জেলাস্তরে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হচ্ছে। পিছিয়ে নেই বিজেপিও। বিজয়া সম্মেলনী করে পদ্ম শিবিরও চাইছে দলের অন্দরে খামতি সহ নানা মনোমালিন্য দূর করে এক জোট হতে। দলের বিভিন্ন স্তরের কর্মীদের নিয়ে এই সব বিজয়া সভার আয়োজন করা হচ্ছে। সব জায়গাতেই মুখ্য বক্তা হিসাবে উপস্থিত থাকছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল ও জেলা পরিষদ আসনের নিরিখ কাঁথি ও তমলুকে এগিয়ে তৃণমূল। কিন্তু বিধানসভার নিরিখে ভোট শতাংশের হিসাবে এগিয়ে বিজেপি। তাই দুই দলই আগামী লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুরের দুই আসনের দখল রাখতে মরিয়া। এ বিষয়ে রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি বলেছেন, “এটা প্রতি বছর হয়। সামনে বছর লোকসভা আছে বলে নয়। পুজোর সময় কর্মীরা বিচ্ছিন্ন থাকে। পুজোর পরে কর্মী, নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের অন্য মাধ্যম বিজয়া। সংগঠন শক্তিশাসলী করতে রাজনৈতিক কর্মসূচি আমরা নিচ্ছি। বিজয়া সম্মিলনী শেষ হলেই সে গুলি শুরু হবে।” অন্য দিকে কাঁথি জেলা সভাপতি ও দক্ষিণ কাঁথির বিজেপি বিধায়ক অরূপ কুমার দাস বলেছেন, “আমরা গত কয়েক বছর ধরেই পুজোর পর বিজয়া সম্মিলনী করি। শাসক দল কী করছে বলতে পারব না। কিন্তু আমাদের কাছে বিজয়া নতুন নয়। আমরা সনাতনী সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী। সেই ঐতিহ্য মেনেই আমরা এই সম্মেলন করি। স্থানীয় ভোট গায়ের জোরে করে শাসক দল কিছু আসন দখসল করেছে। কিন্তু লোকসভায় পারবে না। পুলিশের সাহায্য ছাড়া এই দলটার অস্তিত্বই থাকবে না।”