নন্দকুমার: রাস্তার ধারে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য স্পিডোমিটার বসানো হয়। তবে এই স্পিডোমিটার নাকি দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য নয়, বিরোধী দলনেতার গাড়ির গতি আটকানোর জন্য লাগানো হয়েছে। এমনই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বললেন, “আমার গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এরা আবার স্পিডোমিটার লাগিয়ে রেখেছে। আমি চলে যাওয়ার পর তুলে নেয়। দুর্ঘটনার জন্য নয়, আমাকে গতি আটকানোর জন্য। আমি ধন্যবাদ জানাই।” এরপরই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপার অমর নাথের উদ্দেশে তিনি বলেন, “যদিও জেড ক্যাটেগরির লোককে তুমি পারো না এগুলি করতে। করছো করো।”
সঙ্গে পুলিশের উদ্দেশে তাঁর পরামর্শ, “অতি বাড় বেড়ো না, ঝড়ে ভেঙে যাবে।” সম্প্রতি শাসক দলের সাংসদ আবু তাহেরের গাড়ির ধাক্কায় এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনার প্রসঙ্গও এদিন টেনে আনেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বললেন, “সাংসদ আবু তাহেরের গাড়ি বাচ্চা মেরে দেয়। সেখানে স্পিডোমিটার নেই। সেখানে তো শুভেন্দু অধিকারী নেই। আসলে জ্বালা। ভীষণ জ্বালা।” শুক্রবার নন্দকুমারের ফুটবল ময়দানে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল, সেখানে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। সেই মঞ্চ থেকেই পুলিশের উদ্দেশে এই মন্তব্য করেন তিনি।
এর পাশাপাশি রাজ্যের শাসক শিবিরকেও একহাত নেন শুভেন্দু অধিকারী। উত্তরপ্রদেশের প্রসঙ্গ টেনে বললেন, “এটাও (পশ্চিমবঙ্গ) উত্তর প্রদেশ হবে। এখানেও বুলডোজার আসছে। অপেক্ষা করে থাকুন।” কিছুদিন আগেও বুলডোজার তত্ত্ব তুলে ধরেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বলেছিলেন, “উত্তর প্রদেশ মডেল এখানে হবে। তৈরি থাকুন বুলডোজার চলবে।” প্রসঙ্গত, এর আগে উত্তর প্রদেশের অশান্তির পর বুলডোজার চলতে দেখা গিয়েছিল কানপুর, সাহারানপুর, প্রয়াগরাজে। হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে একাধিক জায়গায় বাড়িঘরের উপর বুলডোজার চালানোর ঘটনা ঘটেছিল। পরবর্তী সময়ে সেই নিয়ে মামলা গড়িয়েছিল শীর্ষ আদালত পর্যন্তও। এখন রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে যখন একের পর এক বাক্যবাণ ধেয়ে আসছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির থেকে, তখন এই বুলডোজ়ার তত্ত্ব নিয়ে ফের নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে বঙ্গ রাজনীতির অন্দরমহলে।