পূর্ব মেদিনীপুর: প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার খাতে বাংলার জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। গ্রামীণ রাস্তা তৈরির জন্য ৫৮৪ কোটি টাকা পেয়েছে রাজ্য। শুক্রবারই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (LOP Suvendu Adhikari) দাবি করেন, কেন্দ্র রাজ্যকে গ্রামীণ রাস্তা তৈরির জন্য যে টাকা দিয়েছে, তার সঙ্গে নির্দিষ্ট কিছু নির্দেশিকাও দিয়েছে। এই নির্দেশ পালনের উপরই রাজ্যের টাকা পাওয়া যে কার্যত নির্ভর করছে, সে বার্তাও দেন শুভেন্দু। একই বার্তা শোনা যায় বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের মুখেও। এরই পাল্টা সরব হলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। কুণালের বক্তব্য, কেন্দ্রের টাকা পাওয়াটা রাজ্যের অধিকার। এটা বিজেপির পৈত্রিক সম্পত্তি নয়, যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমি কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন এবং পঞ্চায়েতিরাজ মন্ত্রী গিরিরাজ সিং ও কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রককে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য। কেন্দ্রীয় সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ও অর্থ সাহায্যে পশ্চিমবঙ্গে প্রচুর গ্রামীণ সড়ক ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে। আমাদের আশা ২০২৫ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার আওতায় পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৬০০০ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হবে, মোট ৫৫০০ কোটি টাকা ব্যয় করে। তবে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক কয়েকটি শর্ত দিয়েছে রাজ্য সরকারকে।”
কী সেই শর্ত? শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “নির্মিত রাস্তার দু’পাশে সাইন বোর্ড লাগাতে হবে। যেখানে প্রকল্পের সঠিক নাম লিখতে হবে এবং কেন্দ্রের লোগো আঁকতে হবে। রাস্তার উদ্বোধন করবেন স্থানীয় সাংসদ। তিনি যে দলেরই হোন না কেন।” অন্যদিকে নদিয়ার কল্যাণীতে দিলীপ ঘোষকেও বলতে শোনা যায়, “কেন্দ্রের টাকা পেয়েছে। এবার থেকে আর নাম বদল করা যাবে না। প্রকল্পের নাম লিখতে হবে, তবে টাকা আসবে। যা যা বলেছে সব করতে হবে। নয়তো কেন্দ্র টাকা বন্ধ করে দেবে। সেটা কেন্দ্রীয় সরকারের অধিকার আছে।”
শুক্রবার হলদিয়ার সুতাহাটায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “দিলীপবাবুদের ভাষণ শুনলে মনে হয় এই সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। আপনারা সবেই হেরে এসেছেন তাই এখন ধৈর্য ধরার অভ্যাস করুন। আর কেন্দ্রের টাকা পাওয়াটা রাজ্যের অধিকার। ওটা বিজেপির পৈত্রিক সম্পত্তি নয়। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো। রাজ্য থেকেও কর আদায় করে কেন্দ্র। রাজ্যের প্রাপ্য কেন্দ্রকে দিতেই হবে। আর থাকল নাম বদল। বাংলা শব্দে ওদের কিসের আপত্তি? কেন্দ্রের সরকার তো সব নাম বদল করছে।”