AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Nandigram: তৃণমূল স্পর্শে ‘অশুচি’ শহিদ বেদি ‘শুদ্ধিকরণে’ শুভেন্দুর অনুগামীরা, নন্দীগ্রামে তীব্র উত্তেজনা

Nandgram Day: তৃণমূল নেতৃত্বর শ্রদ্ধার জানানোর পরই মালা সরিয়ে শুদ্ধিকরণ বিজেপি কর্মীদের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে তুমুল হট্টগোল তৈরি হয়।

Nandigram: তৃণমূল স্পর্শে 'অশুচি' শহিদ বেদি 'শুদ্ধিকরণে' শুভেন্দুর অনুগামীরা, নন্দীগ্রামে তীব্র উত্তেজনা
বিজেপির শুদ্ধিকরণ (নিজস্ব ছবি)
| Edited By: | Updated on: Mar 14, 2022 | 6:15 PM
Share

নন্দীগ্রাম: নন্দীগ্রাম দিবস ঘিরে পূর্ব মেদিনীপুরের মালাপাড়ায় তুমুল উত্তেজনা। ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির শহিদ বেদিতে মাল্যদানকে কেন্দ্র করে বিজেপি এবং তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ধস্তাধস্তি। এরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশবাহিনী। সোমবার সকালে প্রথমে মালাপাড়ায় গিয়ে শ্রদ্ধা জানান তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, সাংসদ দোলা সেনরা। এই দিনই ওই একই বেদিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে সব জায়গাতেই দুপুরের দিকে কর্মসূচি পালনের অনুমতি পান শুভেন্দু। তৃণমূলের কর্মসূচি শেষ হতেই মালা সরিয়ে বেদি ‘শুদ্ধিকরণে’ হাত লাগান বিজেপি কর্মীরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই বিজেপি ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে তুমুল হট্টগোল বাধে।

সোমবার নন্দীগ্রাম দিবস উপলক্ষে ঢালাও কর্মসূচী ছিল তৃণমূলের। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, গোকুলনগরের মালপল্লীর শহিদ বেদিতে মাল্যদান, গৌরাঙ্গমূর্তিতে হরি কীর্তন ও ভাঙাবেড়ায় শহিদ তর্পন। পাশাপাশি সোনাচূড়ার শহিদ বেদিতেও মাল্যদানের আয়োজন করা হয়। মালাপাড়ার পাশাপাশি এই শহিদ বেদিতেও প্রথমে মাল্যদানের অনুমতি দেওয়া হয়নি বিরোধী দলনেতাকে। পরে দুপুর নাগাদ তাঁকে অনুমতি দেয় প্রশাসন।

কী কারণে গণ্ডগোল? আগে থেকে কর্মসূচি নির্ধারিত করা থাকলেও জেলা পুলিশের তরফে সাফ জানানো হয় যে তৃণমূল-বিজেপি দুই পক্ষকে একসঙ্গে কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হবে না। এদিকে, মালাপাড়ায় কর্মসূচি সেরে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব ততক্ষণে পৌঁছায় গোকুলনগর অধিকারী পাড়ায়। সেই সময় মঞ্চ থেকে শেখ সুফিয়ান (নন্দীগ্রাম আন্দোলনের অন্যতম নেতা) সরাসরি নন্দীগ্রাম থানার আইসি সমর রায় চৌধুরিকে অনুরোধ করে বলেন, এই পবিত্র মাটি যেন বিরোধী দলনেতা স্পর্শ যেন না করেন। একই রকম ভাবে কুণাল ঘোষও এই আবেদন করেন। তবে এখানেই পুলিশ-প্রশাসনের উপর রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে ওয়াকিবহাল মহল। উল্লেখ্য, এদিন সকালে মালাপাড়া ও সোনাচূড়ার শহিদ বেদিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মালা দেওয়ার কথা থাকলেও প্রশাসনের অনুমতি না থাকায় এদিন দুপুরে মাল্যদান করতে হয় তাঁকে। এরপর গোকুলনগরে দফায়-দফায় সংঘর্ষ বাধে দু’পক্ষের মধ্যে।

সোমবার দুপুর নাগাদ এলাকায় পৌঁছান শুভেন্দু অধিকারী। যদিও, মাল্যদানের অনুমতি না মেলা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। তবে বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, এর আগেও পুলিশ তাদের একাধিক কর্মসূচিতে অনুমতি দেয়নি। তাই তাদের এতে কিছু এসে যায় না। নিজেদের মতো করেই কর্মসূচি পালন করবে বিজেপি।

সাধারণভাবে শহিদ দিবস পালন করত ভূমি উচ্ছেদ কমিটিই।  ২০০৮ সাল থেকে তৃণমূল এর নেতৃত্ব দিয়েছে। গতবছর এই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখান শুভেন্দু অধিকারী। এরপর থেকেই নন্দীগ্রামের একাধিক কর্মসূচি নিয়ে আকচা-আকচি চলে আসছে শুভেন্দু ও তৃণমূল দুই শিবিরের মধ্যে।

আরও পড়ুন: Kunal Ghosh: শুভেন্দুকে ডাইনোসরের সঙ্গে তুলনা টেনে কুণাল বললেন, এরপর…