Tamluk: তবে কি আশঙ্কাই সত্যি? অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কেন্দ্রে ওয়াকি-টকি হাতে স্ট্রং রুমের বাইরে ওঁরা কারা?

Kanishka Maity | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

May 31, 2024 | 11:11 AM

Tamluk: বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "আইপ্যাকের ছেলেরাই এসেছিল এলাকার গন্ডগোল করতে।এই ঘটনা ঘিরে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে হয় তীব্র বচসা হয়। পরে রাতে পুলিশ গিয়ে অবস্থা স্বাভাবিক করে।"

Tamluk: তবে কি আশঙ্কাই সত্যি? অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কেন্দ্রে ওয়াকি-টকি হাতে স্ট্রং রুমের বাইরে ওঁরা কারা?
স্ট্রংরুমের বাইরে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

তমলুক:  হাতে ছিল ওয়াকি টকি। স্ট্রং রুমের পাশে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিল। গ্রামবাসীদের নজরে পড়েছিল বিষয়টা। খবর চলে যায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের কাছে। আগেই বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব EVM কারচুপির আশঙ্কা করে কর্মী সমর্থকদের সতর্ক থাকতে বলেছিলেন। বিজেপি কর্মী সমর্থকরা গিয়ে গিয়ে ওই যুবকদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। আর তা নিয়ে উত্তেজনা ছড়াল কোলাঘাট স্ট্রং রুম চত্বরে। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশের বিশাল বাহিনী।

তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের ইভিএম রাখার জন্য স্ট্রং রুম করা হয়েছে কোলাঘাট কে.টি.পি.পি হাই স্কুল। আর সেই স্কুলের পিছনের চত্বর মেসাড়া গ্রাম। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, যে গাড়িতে করে কয়েকজন দুষ্কৃতীরা হাতে ওয়াকি টকি নিয়ে ঘোরাফেরা করছে। আর তারপরেই বিজেপি কর্মী সমর্থকরা ওই কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। ঘটনাস্থলে যায় কোলাঘাট থানার বিশাল বাহিনী। যদিও ওই যুবকদের কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি। তাঁদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ।

বিজেপি কর্মীর অভিযোগ, “ইভিএম চেঞ্জ করার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের আইপ্যাক-এর ছেলেরা এসেছিল। তবে আমরা প্রতিরোধ করার পর পুলিশের সাহায্য নিয়ে বেরিয়ে চলে যায়।” আর এই ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ঘটনাস্থলে যান তমলুক লোকসভার বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আইপ্যাকের ছেলেরাই এসেছিল এলাকার গন্ডগোল করতে।এই ঘটনা ঘিরে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে হয় তীব্র বচসা হয়। পরে রাতে পুলিশ গিয়ে অবস্থা স্বাভাবিক করে।”

যদিও তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ খণ্ডন করেছে ব্লক তৃণমূল সভাপতি অর্ণব চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “যত দিন যাচ্ছে ভেতরের রিপোর্ট এসেছে যে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পরাজিত হচ্ছেন। আর এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতেই এই ধরণের মিথ্যা অপপ্রচার করছেন। মুখ্যমন্ত্রী-সহ সমগ্ৰ নারী জাতিকে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন বিজেপি প্রার্থী, তার ফল ইভিএম-এ পাবেন।”

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই বিজেপির তরফে সৌমিত্র খাঁ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, সর্বোপরি সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছিলেন, EVM কারচুপি করা হতে পারে। সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, “আমরা আমাদের কর্মীদের সব জায়গাতেই সতর্ক থাকতে বলেছি। কারণ ছলের দুর্বুদ্ধির অভাব হয় না। দোসর আই প্যাক। কীভাবে একজন টুকরে টুকরে গ্যাঙের মহিলাকে কলকাতা পুলিশের শেল্টারে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।চক্রান্ত থেকে সাবধান থাকতে হবে। চেষ্টা করতে পারে যদি EVM গুলোকে কিছু করা যেতে পারে।”

Next Article