Tamralipta Medical: মাঝরাতে মেডিক্যালে ঢুকে ডাক্তার পেটানো, কর্মবিরতির ডাক চিকিৎসকদের

Tamluk: চিকিৎসক সায়ন চক্রবর্তী বলেন, "একজন মৃত রোগী হাসপাতালে এনে বলছে বাঁচিয়ে তুলুন। না হলে মেরে ফেলবে। সুদীপ পালকে হস্টেলচত্বর থেকে টেনে হিঁচড়ে এনে মারধর করেছে। ওনাকে বাঁচাতে গেলে বলছে একেও মারো। একজন সিকিউরিটি দাদা ছিলেন তাঁকেও মেরেছে। মৃত মানুষকে বাঁচিয়ে তুলব এমন ওষুধ তো আবিষ্কার হয়নি। প্রিন্সিপাল ও এমএসভিপিকে জানিয়েছি। থানায় এফআইআর করেছি।"

Tamralipta Medical: মাঝরাতে মেডিক্যালে ঢুকে ডাক্তার পেটানো, কর্মবিরতির ডাক চিকিৎসকদের
প্রতিবাদে চিকিৎসকরা। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 02, 2024 | 10:20 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: চিকিৎসককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগকে সামনে রেখে এবার কর্মবিরতির ডাক দিলেন তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা। তাঁদের দাবি, যতক্ষণ না দুষ্কৃতীরা গ্রেফতার হচ্ছে, ততক্ষণ চলবে এই কর্মবিরতি। অভিযোগ, বুধবার রাতে তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজে রোগী মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চিকিৎসকদের মারধর করা হয়। এই ঘটনায় একজন সার্জেনকে আইসিইউতে ভর্তি পর্যন্ত করাতে হয়। তারই প্রতিবাদে এই কর্মবিরতির ডাক চিকিৎসকদের।

অভিযোগ, রাত তখন ১টা ৪০। প্রায় ৬০-৭০ জন এসে হাসপাতালে চড়াও হন। বেধড়ক মারতে শুরু করেন চিকিৎসক সুদীপ পালকে। চণ্ডীপুর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার বুদ্ধদেব গুছাইত এই হাসপাতালে কর্মরত। তিনি বলেন, “আমি সামনেই শুয়েই ছিলাম। ডাক্তারবাবু ঢুকতেই দেখি কয়েকজন ধেয়ে এল। ডাক্তারবাবু বাইকটা দাঁড় করাতে পারেনি, তার আগেই আক্রমণ করেছে। কিল ঘুষি মারতে থাকে স্যরকে। বাঁশ দিয়ে পর্যন্ত মেরেছে। আমি ছুটে আসি। আমাকেও মারে। আমার পায়ে লেগেছে। সায়ন চক্রবর্তী নামে আরেকজন ডাক্তার ছুটে আসেন। তিনি কিছু করতে পারেননি। নিমতৌড়ির এক রোগী মারা যাওয়ার পর তাঁর বাড়ির লোকজন এসব করেছে।”

চিকিৎসক সায়ন চক্রবর্তী বলেন, “একজন মৃত রোগী হাসপাতালে এনে বলছে বাঁচিয়ে তুলুন। না হলে মেরে ফেলবে। সুদীপ পালকে হস্টেলচত্বর থেকে টেনে হিঁচড়ে এনে মারধর করেছে। ওনাকে বাঁচাতে গেলে বলছে একেও মারো। একজন সিকিউরিটি দাদা ছিলেন তাঁকেও মেরেছে। মৃত মানুষকে বাঁচিয়ে তুলব এমন ওষুধ তো আবিষ্কার হয়নি। প্রিন্সিপাল ও এমএসভিপিকে জানিয়েছি। থানায় এফআইআর করেছি।” তাঁদের দাবি, দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার করতে হবে। চিকিৎসক সুদীপ পাল ঈশ্বরের কৃপায় বেঁচে আছেন। মরে যেতেন না হলে, বলছেন ডাক্তাররা। জামিন অযোগ্য ধারায় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন তাঁরা।