AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Tapas Mandal: নব্বইয়ের দশকে গ্রামে কোচিং সেন্টার খুলেছিলেন, কয়েক বছরে কোটি কোটি টাকার মালিক! কী বলছেন তাপসের গ্রামের লোকজন?

Tapas Mandal: মাইশোরার গ্রামের বাড়িতে তাপস শেষ এসেছিলেন গত বছর। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে হাওড়ায় প্রাথমিক শিক্ষিকার চাকরি পান পারমিতা।

Tapas Mandal: নব্বইয়ের দশকে গ্রামে কোচিং সেন্টার খুলেছিলেন, কয়েক বছরে কোটি কোটি টাকার মালিক! কী বলছেন তাপসের গ্রামের লোকজন?
তাপস মণ্ডলের ভাই ও তাঁর স্ত্রী (নিজস্ব চিত্র)
| Edited By: | Updated on: Oct 16, 2022 | 9:29 PM
Share

পূর্ব মেদিনীপুর: হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি খুইয়েছেন অনেকেই। সেই তালিকায় নাম রয়েছে মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের ভাইয়ের স্ত্রীয়ের নামও। ২৬৯ জনের তালিকায় ছিল বিভাস মণ্ডলের স্ত্রী পারমিতার নাম। নব্বইয়ের দশকে কোচিং সেন্টার দিয়ে শুরু, তখন থেকেই পাঁশকুড়ার ভিটে ছেড়ে কলকাতায় বাস করা শুরু করেন তাপস। প্রয়োজন ছাড়া তিনি গ্রামের বাড়িতে যেতেন না বলেই খবর। ধীরে ধীরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ট্রেনিং সেন্টার খুলে বেকার ছেলেমেয়েদের চাকরির টোপ। বেনিয়মে নিজের ভাইয়ের স্ত্রীকেও চাকরি পাইয়ে দেন বলে অভিযোগ তাপসের বিরুদ্ধে।

মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের মহিষবাথানের কোচিং সেন্টারে শনিবার হানা দেয় ইডি। বর্তমানে বারাসতের বাসিন্দা তাপসের আদি বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার মাইশোরায়। ওই বাড়িতেই থাকেন তাপসের ভাই বিভাস মণ্ডল ও তাঁর পরিবার। বিভাসের স্ত্রী পারমিতা কয়েক মাস আগেই হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি খুইয়েছেন। বেআইনিভাবে তিনি ওই চাকরি পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ।

মাইশোরার গ্রামের বাড়িতে তাপস শেষ এসেছিলেন গত বছর। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে হাওড়ায় প্রাথমিক শিক্ষিকার চাকরি পান পারমিতা। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বাড়ির অদূরে মাংলই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি হয়ে আসেন তিনি। অভিযোগ ছিল, পারমিতার চাকরি এবং বদলি দুই-ই প্রভাব খাটিয়ে হয়েছিল।

কয়েক মাস আগে হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যের যে ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষক চাকরি খোয়ান, তাঁদের মধ্যে ছিলেন পারমিতাও। তাপস মণ্ডল টাকার বিনিময়ে চাকরি দিতেন। ভাইয়ের বউকেও চাকরি করিয়ে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।

রবিবার তাপসের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, সেখানে রয়েছেন তাঁর ভাই -ভাইয়ের বউ। দাদাই কি প্রভাব খাটিয়ে স্ত্রীকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন? প্রশ্ন করতে বিভাস মণ্ডল বলেন, “প্রভাব খাটিয়ে বউয়ের চাকরি করেছেন কিনা, তা বলতে পারব না। আমার বউয়ের পিটিটিআই আছে, আরও অনেক কোর্স করেছে। দু’বার টেটে বসেছে। দাদার কলেজ আছে, স্টাডি সেন্টার আছে।”  অন্যদিকে চাকরি হারিয়ে  পারমিতা বলেন, “কেন যে চাকরি গেল, তা বলতে পারব না। আমি নিজেই পরীক্ষা দিয়েছিলাম। অনেকে অনেক কথাই বলবেন।” তাপসের ভাই বিভাগের শ্বশুর প্রভাকর মান্নাও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে নানা বেআইনি কাজ করছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “গরিব ছিল ওঁরা খুব। সংসার চলত না। গ্রামে কোচিং সেন্টার খুলেছিল তাপস। ওরা তো তিন ভাই। আরেক ভাইও কলকাতায় থাকে। তাপস তো কলকাতায় চলে যায় পরে। পরে তো শুনলাম এত কিছু। ” কীভাবে কোচিং সেন্টার চালিয়ে তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ হয়ে উঠেছিলেন তাপস মণ্ডল, তা জানতে চান তদন্তকারীরা। শনিবার তাপসের বারাসতের বাড়িতে তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। তাপসকে আগামী ২০ তারিখ ইডি দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।