Teacher Death: শিক্ষকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ময়নায়, খুন না আত্মহত্যা? বাড়ছে রহস্য

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Dec 06, 2022 | 1:51 PM

Teacher Death: সূত্রের খবর, সোমবার রাত থেকে তাঁর কোনও খোঁজ মিলছিল না। চিন্তা বাড়ে পরিবারের। বাড়ির সদস্যদের পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দারাও বাড়ির আশেপাশে নানা জায়গায় তাঁর খোঁজ শুরু করেন।

Teacher Death: শিক্ষকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ময়নায়, খুন না আত্মহত্যা? বাড়ছে রহস্য
প্রতীকী ছবি

Follow Us

ময়না: গোটা দেশের পাশাপাশি বাংলাতেও আত্মহত্যার (Suicide) সংখ্যা বিগত কয়েক বছরে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। আর্থ-সামাজিক টানাপোড়েনর কারণে মানসিক অবসাদই এর নেপথ্যে মূল কারণ বলে মনে করছেন মনোবিদদের একটা বড় অংশ। প্রতিহিংসার কারণে খুনের (Murder) ঘটনাও যেন বাঁধ ভেঙেছে সাম্প্রতিককালে। মঙ্গলবার, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়না থানার মানস পাড়ই নামে এক বাংলার শিক্ষকের গাছ থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। দক্ষিণ আনুখা মোক্ষদা বিদ্যাভনে তিনি শিক্ষকতা করতেন বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ আত্মহত্যা বলে মনে করলেও শিক্ষককে খুন করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। এ ঘটনাকে কেন্দ্রকে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে এলাকায়। 

সূত্রের খবর, সোমবার রাত থেকে তাঁর কোনও খোঁজ মিলছিল না। চিন্তা বাড়ে পরিবারের। বাড়ির সদস্যদের পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দারাও বাড়ির আশেপাশে নানা জায়গায় তাঁর খোঁজ শুরু করেন। শেষে বাড়ির কিছুটা দূরে একটি গাছে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাওয়া যায়। 

তড়িঘড়ি গাছ থেকে নামিয়ে তাঁকে নিয়ে যাওয়া ময়না ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিগত কয়েক মাস ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন মানসবাবু। তবে কী কারণে অবসাদ তাঁকে গ্রাস করেছিল সে বিষয়েও এখন সঠিকভাবে কিছু জানা যায়নি। ইতিমধ্যেই দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে ময়না থানার পুলিশ। খুন না আত্মহত্যা? মৃত্যুর আসল কারণ জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বাড়ির সদস্যদের পাশাপাশি প্রতিবেশীদের।

মৃত শিক্ষকের ভাই অমল কুমার পাড়ুই বলেন, “দাদা কালকে বিকাল ৫টা নাগাদ শনি মন্দিরের দিকে যায়। ৭টা বেজে গেলেও বাড়ি ফেরেনি। বৌদি ফোনও করে বেশ কয়েকবার। ফোন ধরেনি। এরপরই আমরা খোঁজাখুঁজি শুরু করি। খোঁজাখুঁজি করতেই দেখি এলাকারই একটা পুকুর পাড়ে গাছেে গলায় দড়ি দিয়েছে। আমাদের মনে হচ্ছে দাদাকে খুন করা হয়েছে। কারণ দাদা আত্মহত্যা করতে পারে না। আমরা দোষীদের শাস্তি চাই। আমি যতদূর জানি দাদাকে টাকা দিয়েছিল। কিন্তু, বারবার চাওয়ার পরেও ফেরত পায়নি। ততে দাদা এটা নিজের মুখে কখনওই স্বীকার করেনি। আমাদের হাতও কিছু প্রমাণ নেই। তবে আমাদের সন্দেহ যে ব্যক্তিকে টাকা ধার দিয়েছিল সে এর পিছনে থাকতে পারে।” 

Next Article