পাঁশকুড়া: অচিন্ত্য ধারা। করুণাময়ীর আন্দোলনে (Karunamoyee TET Agitation) চাকরির দাবিতে যাঁরা সামিল হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন অচিন্ত্যও। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাঁদের হঠিয়ে দেয়। আন্দোলনকারীদের আটক করে বিভিন্ন থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, সেই সময় আটক হয়েছিলেন অচিন্ত্যও। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের দাবি ছিল, তিন জন চাকরিপ্রার্থী নিখোঁজ। আর সেই তিনজনের মধ্যে ছিল অচিন্ত্যও। তবে এদিন সকালে অবশ্য দেখা যায় বিধাননগর পূর্ব থানা থেকে তাঁদের গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় হাইকোর্টে। চাকরির দাবিতে আন্দোলনে সামিল অচিন্ত্যর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায়। কিন্তু অচিন্ত্য যে আন্দোলনে সামিল, সেই বিষয়ে কোনও খোঁজ ছিল না পরিবারের কাছে।
অচিন্ত্যর মা বীণাপানি ধারা জানান, “দু’দিন অন্তর ছেলে বাড়িতে ফোন করে। গত তিন দিন কথা না হলেও, আজ ফোনে কথা ওর সঙ্গে। বলেছে, ভালো আছি।” অচিন্ত্যর বাবা দুর্লভ ধারা বাড়িতে খুব বেশি থাকার সুযোগ পান না। একটি মুদিখানার দোকান রয়েছে। ছোট্ট দোকান। সেখান থেকে আয়েই সংসার চলে। তাই দিনের বেশিরভাগ সময়টা দোকানেই কেটে যায় তাঁর। অচিন্ত্যর বিষয়ে প্রশ্ন করায় বলেন, “ছেলে কলকাতায় আছে জানি। আমি একটা মুদির দোকান চালাই। বাড়িতে থাকি না। তাই ওর বিষয়ে খুব বেশি বলতে পারব না।”
মা বীণাপানি ধারা বলেন, “দুই-তিন দিন অন্তর ছেলের সঙ্গে ফোনে কথা হয়। ছেলে ভাল-মন্দ জানতে চায়। তবে গত দু’দিন কথা হয়নি। আজ সকাল ১১টা নাগাদ ছেলে ফোন করেছিল। বলল, ভাল আছে। আর কোনও কথা হয়নি। এই বলেই ফোন কেটে দেয়।” উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত জট, বেনিয়ম নিয়ে ক্রমেই চড়ছে পারদ। ক্রমেই তপ্ত হচ্ছে বাতাবরণ। রাজ্য সরকারের তরফে সুরাহার চেষ্টা করা হচ্ছে বটে, কিন্তু আশ্বস্ত হতে পারছেন না এতদিন ধরে বঞ্চনার শিকার চাকরিপ্রার্থীরা। তবে পাঁশকুড়ার অচিন্ত্যকে নিয়ে কলকাতার রাজপথ তোলপাড় হলেও, তাঁর বাড়িতে বা আশপাশের লোকেরা সেভাবে কিছু জানতেই পারলেন না।