পূর্ব মেদিনীপুর: রথযাত্রার আগের দিন লেদ উৎসব বা নেত্র উৎসব হয়। শনিবার সেই লেদ উৎসবের মধ্যে দিয়ে শুরু হল মহিষাদলের প্রাচীন রথযাত্রার। কাঠের তৈরি রথের চাকা গঙ্গা জল, দই, দুধ, ঘি, মধু সহ অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে ধোয়ানো হয়। মহিষাদলের ১৩ চূড়ার রথের স্নানযাত্রা মানে রথের চাকাকেই স্নান করানো।
প্রায় ২৫০ বছরের পুরনো মহিষাদলের রথ। এক সময়ে এই কাঠের রথের চূড়া ছিল ১৭টি। পরে যদিও সে চূড়ার সংখ্যা কমে ১৩ হয়েছে। চাকার সংখ্যা ৩৪। রথের সেই ৩৪টি কাঠের চাকাকেই পঞ্চগব্য দিয়ে পুজো করা হয়।
রথোৎসবকে ঘিরে মহিষাদল রাজ পরিবার, মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতি ও মহিষাদল রথ পরিচালন কমিটি যৌথভাবে তৎপর হয়েছে। পুরীর রথের পরই বাংলার মাহেশের রথ সর্বজনবিদিত। তারপরই রয়েছে মহিষাদলের নাম। ইতিমধ্যেই এই রথকে ঘিরে গাইড ম্যাপ প্রকাশিত হয়েছে। এই রথ উপলক্ষে বসবে রথের মেলা। ২১ দিন ধরে চলবে এই মেলা।
মহিষাদলের বিধায়ক তিলককুমার চক্রবর্তী বলেন, “আমরা মহিষাদলবাসী হিসাবে গর্বিত। রাজবাড়ির রথ প্রায় ২৫০ বছরের পুরনো রথ। আমি মহিষাদলে জন্মেছি, আমরা ধন্য। সারা বছর অপেক্ষা করে থাকি এই রথযাত্রার জন্য।”