পূর্ব মেদিনীপুর: ফের বিক্ষোভের মুখে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার, সন্ধে ৭টা নাগাদ বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে যাওয়ার পথে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের সম্মুখীন হন অধিকারীো পুত্র। বক্স বাজিয়ে ‘গদ্দার’ স্লোগান তুলে বিরোধী দলনেতার উদ্দেশে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা।
এদিন, সন্ধ্য়া ৭টা নাগাদ তমলুকের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে দলীয় বৈঠক করতে যান শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকে বিক্ষোভের মুখে পড়েন অধিকারী পুত্র। বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী-সমর্থক তাঁকে দেখেই ‘গো-ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন বলে অভিযোগ। পরে সেখান থেকে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের তমলুকের জেলা সভাপতি নবারুণ নায়েকের বাড়িতে বৈঠক করতে যাওয়ার সময়ে রাজ্য সড়কের উপর শুভেন্দুর গাড়ি লক্ষ্য করে শতাধিক তৃণমূল কর্মী বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। বক্স বাজিয়ে ‘গদ্দার হটাও’ স্লোগান তুলে পোস্টার হাতে নিয়ে রাজ্য সড়কের উপর দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের দেখে পাল্টা ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান দিতে শুরু করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় তমলুক থানার পুলিশ ও কমব্যাট ফোর্স।
বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি নবারুন নায়েকের বক্তব্য, “শুভেন্দু অধিকারীকে দেখলেই গায়ে কাঁটা দেয় তৃণমূল সমর্থকদের। তাই যেখানেই তিনি যান, সেখানেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল সমর্থকেরা।” এদিন, পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিজেপি তমলুক সংগঠনের জেলা সভাপতি। পুলিশের উপস্থিতিতে কী করে রাজ্য সড়কের ওপর বক্স বাজিয়ে বিরোধী দলনেতাকে দেখে বিক্ষোভ দেখাতে পরেন তৃণমূল সমর্থকেরা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পদ্ম শিবির। পাল্টা, শাসক শিবিরের তরফে জানানো হয়েছে, তমলুক পবিত্র জায়গা। সেখানে শুভেন্দু অধিকারী তমলুকের মাটিকে অপবিত্র করতে এসেছিলেন। জেলার মানুষ ‘গদ্দার’-কে চান না। তাই আমজনতার পক্ষেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। যদিও, এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি খোদ অধিকারী পুত্র।
সম্প্রতি, পাঁশকুড়াতে বিজেপি কাউন্সিলর সুকুমার ভুঁইয়াকে দেখতে গিয়ে তৃণমূল-কর্মী সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন শুভেন্দু। তাঁর কনভয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। হামলার ঘটনায় আহত হন ১০ জন বিজেপি কর্মী। আহতদের তমলুক সদর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেদিনের ঘটনায় শুভেন্দু পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে বলেন, ” পুলিশ তো ক্যাডার। এখানকার এসপি তো ‘ভাইপো’ নাম জপ করে। পুলিশ কিছুই করবে না। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ও তাঁর কোম্পানি মনে করে তাঁরা যে ৪৭ শতাংশ ভোট পেয়েছেন তাই অনেক। আর বাকি যা পাননি সেটা তাঁদের অংশ নয়। এই বোধটা না হওয়া পর্যন্ত তো এসব চলবেই। পুরো তালিবান ২। রাজ্যের অবস্থা তাই। তবু বলব বিচার ব্যবস্থা কিছুটা পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। আইনে আমাদের আস্থা রয়েছে। আশা করছি মানুষ এ বার বিচার পাবেন। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব।” আরও পড়ুন: ‘দাড়ি কাটব না টুপি খুলব?’, সিপিএমের ‘স্বীকারোক্তি’-তে প্রশ্ন আইএসএফের