রামনগর: পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে তৃণমূল (Trinamool Congress) কর্মীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য। মৃত ব্যক্তির নাম চন্দন সামন্ত (৬১)। বাড়ি রামনগর থানার হলদিয়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ কইনাড়া গ্রামে। মৃত তৃণমূল কর্মী এলাকায় দু’বারের পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন বলেও খবর। এদিন তাঁর বাড়ি থেকেই তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, আত্মঘাতী হয়েছেন চন্দনবাবু। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়ে গিয়েছে চাপানউতর। নাম জড়িয়েছে বিজেপির (BJP)। অভিযোগ, বিগত কিছুদিন ধরেই তাঁকে হুমকি দিচ্ছিলেন এলাকার বিজেপি নেতা অপু সামন্ত।
এদিন চন্দনবাবুর বাড়ি থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে। তাতে সরাসরি অপু সামন্তকেই মৃত্যুর জন্য দায়ী করে গিয়েছেন চন্দন। স্পষ্ট লেখা রয়েছে, ‘আমি চন্দন সামন্ত। আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী নির্মল সামন্ত (অপু)। পিতা প্রভাত সামন্ত।’ এদিকে চন্দন এবারে ভোটে না দাঁড়ালেও এলাকার তৃণমূল প্রার্থীর প্রচারে মাঠে নামতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া তৃণমূলের অন্দরেও। অভিযুক্ত বিজেপি নেতার কড়া শাস্তির দাবি তুলেছেন এলাকার তৃণমূল কর্মীরা।
ঘটনার তদন্তের দাবি তুলেছেন এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি। তিনি বলেন, “আজ আমাদের দলের প্রবীণ এক নেতা আত্মহত্যা করেছেন। তিনি সুইসাইড নোটে লিখেছেন তাঁর পাশের বাড়ির বিজেপি নেতা অপু সামন্ত তাঁকে বিভিন্নভাবে প্ররোচনা দিয়েছেন, তাঁকে উত্ত্যক্ত করেছেন, বাজে কথা বলেছেন। সেই চাপ সামলাতে না পেরেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন। আমরা পুলিশকে বলেছি তদন্ত করতে।”
যদিও বিজেপির জেলা সহ সভাপতি অসীম মিশ্র বলছেন, “আত্মহত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। রামনগরে এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ ছিলেন। মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। এখন তাঁর মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। চিরকুটে বিজেপি কার্যকতার নাম লিখে দিয়ে বলছে যিনি মারা গিয়েছেন তিনি লিখে দিয়ে গিয়েছেন। তৃণমূল নেতারা যে যড়যন্ত্র করছেন সেটা প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে।”