কাঁথি: গত ২৪ জুন বোমা ফাটিয়েছিল রাজ্যের শাসকদল। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর(Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে করা সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের (Sudipta Sen) অভিযোগের ভিডিয়ো সামনে আসে। যেখানে সুদীপ্ত সেন স্পষ্ট অভিযোগ করে বলেন, তাঁকে ব্ল্যাকমেল করতেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে ৬ কোটি দিয়েছিলেন বলেও জানান। এরপরই শুভেন্দুর গ্রেফতারির দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার একেবারে শুভেন্দু অধিকারীর ভিটে থেকেই গ্রেফতারে দাবি জানিয়ে পথে নামল হাজার হাজার তৃনমূল কর্মী সর্মথকরা। যা নিয়েই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোরদার চর্চা।
এক দশক বেশি সময় ধরে পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapore) মুকুটহীন বেতাজ বাদশা, প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তথা বর্তমান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কথায় বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খেত তাঁর এলাকায়। কিন্তু, তৃণমূল ছেড়ে শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগদানের পর গঙ্গা দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। বদলের মেঘ ঢেকেছে পূর্ব মেদিনীপুরের আকাশ। এমতাবস্থায় এবার একেবারে তাঁর এলাকাতেই তাঁকে গ্রেফতারির দাবিতে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথিতে অধিকারী পরিবারের বাড়ি ‘শান্তিকুঞ্জ’ কাছ থেকে এদিন হাজার হাজার তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা মিছিল করলেন। কাঁথি শহরে মেচেদা বাইপাসে পথসভাও করেন৷ এছাড়াও পূর্ব মেদিনীপুরে শিল্পনগরী হলদিয়াতে একই দাবিতে সরব হন মন্ত্রী থেকে তৃণমূল নেতৃত্বরা। পূর্ব মেদিনীপুরের দুটি সভাতে আসেন রাজ্যস্তরে একাধিক নেতৃত্ব।
কাঁথির সভাতে দেখতে পাওয়া যায় রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তন্ময় ঘোষকে। শিল্পনগরী হলদিয়াতে দেখা যায় মানস ভুঁইয়া, শিউলি সাহা,রাজীব ব্যানার্জিকে। হলদিয়া আইটিআই মাঠ থেকে শুরু হয় পদযাত্রা। শেষ হয় ক্ষুদিরাম স্কোয়ারে। সেখানেও চলে অবস্থান-বিক্ষোভ। সূত্রের খবর, মিছিল ও পথসভাতে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের উপস্থিতি ছিল। এখান থেকেই মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “অবিলম্বে শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করতে হবে। যত পঞ্চায়েত নির্বাচন এগিয়ে আসছে বিজেপি নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে! চোরের মায়ের বড় গলা আসলে। উনি বিহার থেকে জাল সার্টিফিকেট নিয়ে এসেছেন। গরু পাচার চক্রের মূল পাণ্ডা! মুর্শিদাবাদ সীমান্তে দিয়ে গরু পাচার করেছেন!”