হলদিয়া: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্কের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল হলদিয়া বন্দর (Haldia Port)। শুধু তাই নয়, রাজ্যে একটি প্রধান শিল্পকেন্দ্রও এটি। এই হলদিয়া শিল্পতালুকে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৪৮টি কারখানা রয়েছে। আর এবার হলদিয়া বন্দরের বাণিজ্যিক পরিকাঠামো ঘুরে দেখলেন আমেরিকারি কনসাল জেনালের মালিন্ডা পেভাক। দু’দিনের জেলা সফরে সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরে পৌঁছেছেন তিনি। সন্ধেয় তিনি যান হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে। সেখানে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের কর্তাদের সঙ্গে বাণিজ্যিক বিস্তার সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন তিনি। একটি ভেসেলে চেপে ডকের সব কাজকর্মও ঘুরে দেখেন মার্কিন কনসাল জেনারেল। হলদিয়া বন্দরের বিভিন্ন জেটিগুলিতে কীভাবে পন্য ওঠানামা করে, সেই সব বিষয়গুলি পর্যবেক্ষণ করেন তিনি।
হলদিয়া ডকের লকগেট এলাকাও ঘুরে দেখেন তিনি। উল্লেখ্য, এই হলদিয়া হল দেশের প্রথম সারির বন্দরগুলির মধ্যে একমাত্র বন্দর যেখানে লকগেটের মাধ্যমে জাহাজ চলাচল করে। জানা যাচ্ছে, আগামিকালও একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে মার্কিন কনসাল জেনারেলের। বন্দরের ভিতরে কী কী পরিকাঠামো রয়েছে, সেই সব দিকগুলি আগামিকাল ঘুরে দেখার কথা রয়েছে তাঁর। জানা যাচ্ছে, হলদিয়া বন্দরের সঙ্গে কীভাবে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বাণিজ্যের পথ আরও সুগম ও প্রশস্ত করা যায়, সেই সব দিকগুলি খতিয়ে দেখতে পারেন তিনি।
জানা যাচ্ছে, বন্দর সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন মার্কিন কনসাল জেনারেল। এদিনে বৈঠক প্রসঙ্গে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান জ্যোর্তিময় কর বলেন, কীভাবে হলদিয়াকে গ্রিন সিটি হিসেবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে, সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের জন্য কী ব্যবস্থা রয়েছে, সেসব বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন মার্কিন কনসাল জেনারেল। সেখানে বিভিন্ন কারখানা ও কুটির শিল্পগুলিতে কত মহিলা কাজ করেন, সেইসব বিষয়েও খোঁজখবর নেন তিনি।