নন্দীগ্রাম: বেলা বাড়তেই নন্দীগ্রামে বাড়তে থাকে উত্তেজনার পারদ। ‘বহিরাগতরা ঢুকে ভোট দিতে দেয়নি, ছাপ্পা ভোট পড়ছে।’ ভোটের দ্বিতীয় পর্যায়ে (West Bengal Assembly Election 2021) নন্দীগ্রামের (Nandigram) বয়ালে ৭ নম্বর বুথের এই অভিযোগ ঘিরে ভোর থেকেই চাপা উত্তেজনা ছিল। সকাল থেকেই রেয়াপাড়ায় অস্থায়ী বাসভবনে বসে গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছিলেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগের পাহাড় জমতে শুরু করে। ১টা ২৫ নাগাদ রেয়াপাড়ার বাসভবন থেকে বেরিয়ে পড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেলা পৌনে দুটো নাগাদ বয়াল বুথে এসে পৌঁছন মমতা।
কাঁচা রাস্তায় ঢুকতে পারে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়। গাড়ি থেকে নেমে হুইলচেয়ারেই বুথের দিকে এগিয়ে যান নেত্রী। এরপর বুথের বাইরে হুইলচেয়ারে বসেই নজরদারি চালাতে থাকেন তিনি। সামনে জমে থাকা ভিড় সরিয়ে লাইন পরিদর্শন করেন। নেত্রীকে সামনে থেকে দেখেই তখন উত্তেজিত হয়ে পড়েন তৃণমূল কর্মী, গ্রামবাসীরা। ভোট দিতে না পারার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
ভোটের সাম্প্রতিকতম খবর জানতে ক্লিক করুন
বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামের মহিলারাও। নেত্রী আসার আগে যে চাপা উত্তেজনা ছিল, তা যেন বাধ ভাঙে। তৃণমূলের অভিযোগ, বহিরাগতরা ঢুকে তাঁদের লাইন থেকে বার করে দেয়। ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। অভিযোগ ঘিরে চরম উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়। বাঁশ ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী, সিআরপিএফ জওয়ানরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দৃশ্যটা একটা সময়ে এমনই তৈরি হয়, মাঠের দু’প্রান্তে দাঁড়িয়ে যুযুধান প্রতিপক্ষ। তাঁদের গার্ড করে রেখে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
বিজেপি কর্মীরা অবশ্য বহিরাগত অভিযোগ নস্যাৎ করে বলছেন, কেউ এখানে বহিরাগত নন। তাঁরা যে ওই গ্রামেরই বাসিন্দা, ওই বুথেরই ভোটার, তা দাবি করতে থাকেন বারবার। তৃণমূল কর্মীরাও অবশ্য ভোটার স্লিপ দেখিয়ে তা প্রমাণের চেষ্টা করেন। এই পরিস্থিতি ওই মাঠেরই এক প্রান্ত নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কার্যত মানববন্ধন করে নিরাপত্তা দিতে দেখা যায় তৃণমূল কর্মীদের। পাশেই ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীও। নেত্রীর সামনেই সিআরপিএফের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীরা বচসায় জড়িয়ে পড়েন। পরিস্থিতি তেতে ওঠে।