নন্দীগ্রাম: নন্দীগ্রাম থেকে পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে পর্যুদস্ত করতে ‘অ্যান্টিবায়োটিক’-এর কথা বলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই অ্যান্টিবায়োটিক কতটা কাজ দিয়েছে, বলা মুশকিল… তবে বিজেপি নন্দীগ্রামে বেশ ভাল ফল করেছে। নন্দীগ্রাম বিধানসভা এলাকায় বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েতের দখল নিয়েছে বিজেপি। আর এরই মধ্যে কার্যত বিস্ফোরক নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান। বলছেন, দলের ফল নন্দীগ্রামে আরও ভাল হতে পারত। কিন্তু তা না হওয়ার জন্য, শাসক দলের জেলা নেতৃত্ব ও রাজ্য নেতৃত্বের একাংশের সিদ্ধান্তকেই দুষছেন সুফিয়ান। টিভি নাইন বাংলাকে একান্ত প্রতিক্রিয়ায় জানালেন, আমাদের জেলাস্তরের বা রাজ্যস্তরের যে নেতারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তাঁরা পুরনো নেতৃত্বদের সম্মান না দেওয়ার ফলে এই ঘাটতি হয়েছে।’
যদিও একুশের বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফল অনেকটা ভাল হয়েছে বলেই মনে করছেন তিনি। তবে একইসঙ্গে এও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন, পুরনো নেতাদের যদি সম্মান দেওয়া হত, তাহলে যে ব্যালট বাক্সে যে ঘাটতি প্রতিফলিত হয়েছে, তা হত না। এখন এই ঘাটতি থেকে উত্তরণের পথ খুঁজছেন তিনি। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে যাতে আরও ভাল ফলাফল করা যায়, সেই চেষ্টাও তিনি করবেন বলে জানালেন।
এবারের পঞ্চায়েত ভোটের পর নন্দীগ্রামের অনেক জায়গাতেই নতুন বোর্ড (বিজেপির) গঠন হতে চলেছে। সেই নিয়েও আক্ষেপের সুর শেখ সুফিয়ানের গলায়। বলছেন, ‘পুরনো নেতাদের যদি এতটুকুও মূল্য দেওয়ার চেষ্টা হত, তাহলে এমন হত না। রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে যদি পুরনো নেতারা ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করেন, তাহলে লোকসভায় ফল আরও ভাল হবে।’ বিজেপি এলাকায় সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের মাধ্যমে ভোট পাওয়ার চেষ্টা করছে বলেও দাবি নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতার।
একইসঙ্গে নির্দল-কাঁটা নিয়েও তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন শেখ সুফিয়ান। বলছেন, ‘নির্দল হল বাস্তবে ক্ষোভের নির্দল। আগামী দিনে এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে হবে। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে।’