পূর্ব মেদিনীপুর: ২৫ এপ্রিল থেকে সংযোগ যাত্রা শুরু করছে তৃণমূল কংগ্রেস। টানা ২ মাসের এই কর্মসূচিকে নেতৃত্ব দেবেন দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। উত্তরবঙ্গের জেলা কোচবিহার থেকে এই ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ নামে এই কর্মসূচি শুরু হবে। আগামী ৩১ মে থেকে চারদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলায় চলবে এই কর্মসূচি। এই কর্মসূচি ঘিরে জেলাজুড়ে উন্মাদনা তুঙ্গে। মূলত জনসংযোগে জোর দিয়েই ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ময়দানে নেমে মানুষের মন বুঝতে এই কর্মসূচি বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। এই দু’ মাস অভিষেক নিজে গ্রামেগঞ্জে ঘুরবেন। প্রতিদিন চার থেকে পাঁচটি সভা করবেন। কথা বলবেন দলের নেতা থেকে বুথ কর্মী, ব্লক সভাপতি থেকে বুথ সভাপতি। আমজনতার কথাও শুনবেন তিনি।
২৫ এপ্রিল অভিষেক তাঁর কর্মসূচি শুরু করবেন উত্তরবঙ্গের কোচবিহার জেলা থেকে। পরপর উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি ঘুরে পৌঁছবেন দক্ষিণবঙ্গে। মুর্শিদাবাদ থেকে তা শুরু করবেন। ২৫ মে অভিষেক পা রাখবেন জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রামে। সেখানে তিনি ২দিন থাকবেন। প্রথমদিন ঝাড়গ্রামে ও পরেরদিন নয়াগ্রামে রাত্রিবাস করবেন। ২৭ মে অভিষেক আসবেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। এখানে তিনি থাকবেন চারদিন। অর্থাৎ ২৭ থেকে ৩০ মে।
এই চারদিনের মধ্যে প্রথমদিন তিনি রাত্রিবাস করবেন কেশিয়াড়িতে, দ্বিতীয়দিন খড়গপুরে, তৃতীয়দিন শালবনিতে এবং চতুর্থদিন ঘাটালে। ৩১ মে তিনি পা রাখবেন শুভেন্দুর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে। এখানে তিনি থাকবেন ৪ দিন। প্রথমদিন পাঁশকুড়া পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রে। পরেরদিন অর্থাৎ ১ জুন পটাশপুরে এবং ২ জুন রামনগরে থাকবেন তিনি। ৩ জুন তিনি রাত্রিবাস করবেন নন্দকুমারে ব্লকে। তবে জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, এই সূচির পরিবর্তন হতে পারে।
জেলার রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন তৃণমূলে একের পর এক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামনে আসছে। প্রতিনিয়ত দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে শাসক নেতাদের দিকেই। পাশাপাশি প্রার্থী বাছাই নিয়েও মতানৈক্যের আভাস মিলছে নানা জায়গায়। পাশকুড়ায় ইতিমধ্যে ব্লক, জেলা কমিটিতে জায়গা না পাওয়াতে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দেখা গেছে ব্লক নেতৃত্বের।
রাজ্যের মন্ত্রী তথা রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি বলেন, “এটা জনসংযোগ কর্মসূচি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় তিনি চারদিন রাত্রিযাপন করবেন। মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করবেন। আমরা এই অবধিই জানি। এরপর বিস্তারিত সূচি এলে আমরা সেই মতো এগোব।” অন্যদিকে কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মণ্ডলেরল বক্তব্য, “রাজ্যের নেতা মন্ত্রীরা যখন চাকরি চুরি, গরু চুরি, কয়লা চুরিতে জেলে যাওয়ার জন্য লাইন দিয়েছে, তখন নতুন যাত্রা শুরু হয়েছে।”