পূর্ব মেদিনীপুর: ভরা বিকেলে রাস্তা অবরোধ করে বসল স্কুলেরই ছাত্র ছাত্রীরা। তাদের অভিযোগ, তাদেরই এক সহপাঠীকে শারীরিক সম্পর্ক তৈরির জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তারই প্রতিবাদে পথে নেমেছে তারা। ওই ছাত্রীদের পাশে ছিল তাদের অভিভাবকরাও। পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের একটি স্কুলের ছাত্রীদের এই অভিযোগ ঘিরে এদিন শোরগোল পড়ে যায়। শুক্রবার বিকেলে এগরা বাজকুল রাজ্য সড়কে স্কুলের সামনেই রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় ভগবানপুরের ওই স্কুলের কয়েক শো ছেলে মেয়ে ও তাদের অভিভাবকরা। অবরোধের জেরে রীতিমতো যানজট তৈরি হয় এলাকায়। খবর যায় ভগবানপুর থানায়। ছুটে আসে পুলিশের একটি দল। তারাই বহু বুঝিয়ে এই অবরোধ তোলে।
অভিযোগ, রাস্তা অবরোধের পাশাপাশি পড়ুয়ারা স্কুলের মধ্যেই সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকাদের আটকে রাখে। ভগবানপুর থানার পুলিশ এসে তালা খুলে তাঁদের উদ্ধার করলেও স্কুলে সে সময় ছিলেন না অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক। পড়ুয়াদের অভিযোগ, পালিয়ে গিয়েছেন তিনি। ঘটনার সূত্রপাত বুধবার। বিক্ষুব্ধ ছাত্রীরা জানায়, ওই স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী স্কুলের সমস্যা নিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে গিয়েছিল। সেই সময়ই ওই ছাত্রীকে প্রধান শিক্ষক কুপ্রস্তাব দেন বলেও অভিযোগ। এমনকী ওই ছাত্রীকে দিঘায় নিয়ে যাওয়ার কথাও বলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই ছাত্রীরা জানান, স্যর বলেছিলেন ওই ছাত্রী সঙ্গে গেলে পোশাক কিনে দেবেন। হাত খরচের টাকাও দেবেন।
ছাত্রীর মা বলেন, “বুধবার আমার মেয়ে স্কুলে এসেছিল। স্কুলের কাজে প্রধান শিক্ষকের কাছে গেলে মেয়েকে কুপ্রস্তাব দেয়। চরিত্রহীন শিক্ষক হলে পড়াশোনার কী করে হবে? এই শিক্ষকের শাস্তির দাবি জানাই। ওই শিক্ষক মেয়েকে বলেছেন, প্রস্তাবে রাজি না হলে উচ্চমাধ্যমিকেও ফেল করিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন।” ভগবানপুর থানার ওসি নাড়ুগোপাল বিশ্বাস বলেন, “অবরোধ তুলে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে।” অন্যদিকে এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।