পূর্ব মেদিনীপুর: বহু চর্চিত বিজেপির সেই সভা অনুষ্ঠিত হল পটাশপুরে (Patashpur)। আর রবিবার সেই সভা থেকেই রাজ্যের পুলিশ ও রাজ্যের শাসকদলকে একযোগে নিশানা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, মিথ্যা মামলা, ভয় দেখিয়ে আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তাতে কোনও লাভই হবে না। পথে তিনি নামবেনই, এদিন সুর চড়িয়ে বার্তা দেন শাসকদলকে। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “একটা কর্নাটক নিয়ে এত লাফালাফি করার মতো কিছু নেই। এর পর একে একে আওয়াজ উঠবে মোদী, মোদী, যোগী, যোগী।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী এখন ‘নো ভোট টু বিজেপি’ বলছেন। তবে বাংলার মানুষ ‘নো ভোট টু মমতা’ করার জন্য মুখিয়ে আছেন।”
এদিন পটাশপুরের সভা থেকে রাজ্য পুলিশের কড়া সমালোচনা করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “সামনে পঞ্চায়েত ভোট আছে। সেটা আমি সামলে নেবো। পুলিশ তৃণমূলকে বাঁচাতে পারবে না। পশ্চিমবঙ্গে পুলিশ তৃণমূলের ক্যাডারে পরিণত হয়েছে। আমি অনেক মাতব্বরকে দেখেছি। এখানকার চুনোপুঁটিদের কী ওষুধ দিতে হবে তা আমার জানা আছে।” পটাশপুরের ওসি সম্পর্কেও এদিনের সভা থেকে সমালোচনার সুর চড়ান বিরোধী দলনেতা। একইসঙ্গে বলেন, “খুব তাড়াতাড়ি আমি আবার পটাশপুরে সভা করব। আপনারা ভয় পাবেন না। আমি রাস্তায় আছি। মিথ্যে মামলা দিয়ে ভয় দেখিয়ে কোনও লাভ হবে না। আমি নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছি। আপনারা প্রস্তুত থাকুন পঞ্চায়েতেও আমরা জিতব।”
যদিও জেলার যুব তৃণমূল সভাপতি সুপ্রকাশ গিরির কটাক্ষ, “কর্নাটকের ফলাফলের পর বিরোধী দলনেতা চুপ করেছিলেন কেন? কোথায় টুইট, কোথায় ফেসবুক পোস্ট? আপনাদের পতন শুরু হয়েছে। শেষ করবে আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৈরি হোন।”
ময়নার বিজেপি কর্মী বিজয়কৃষ্ণ ভুইঁয়ার মৃত্যুর সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেয় বিজেপি। পটাশপুরে অবরোধকারীদের উপর পুলিশি লাঠিচার্জের অভিযোগ ওঠে। তারই প্রতিবাদে গত সপ্তাহে প্রতিবাদ সভা করার কথা ছিল বিজেপির। যদিও প্রশাসনিক অনুমতি না পাওয়ায় পথসভা হয়। তবে হাইকোর্টের অনুমতিতে আজ শুভেন্দু জনসভা করেন।