পূর্ব মেদিনীপুর: শুক্রবার পথবাতি মামলায় কাঁথি থানায় ডাকা হয়েছিল সৌমেন্দু অধিকারীকে। সোমবার ফের তলব করা হয়। এদিন কাঁথি পুরসভার একটি ফাইল নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তিতে ডাকা হয় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দুকে। একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সৌমেন্দু অধিকারীকে ডাকছে কাঁথি থানা। অভিযোগ, কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালীন তাঁর আমলে বহু ক্ষেত্রে আর্থিক নয়ছয় হয়েছে। শুক্রবার ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর এদিন ফের সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। আগামী শুক্রবার ফের ডাকা হয়েছে। তদন্তকারীদের সমস্ত প্রশ্নেরই উত্তর দিয়েছেন বলে, থানা থেকে বেরিয়ে জানান সৌমেন্দু। একইসঙ্গে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও শোনা গিয়েছে সৌমেন্দুর গলায়।
এদিন সৌমেন্দু অধিকারী বলেন, “কাঁথি পুরসভায় ফাইল মিসিং মামলায় আমাকে আজকে তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল। সকাল ১০টায় এসেছিলাম। বিকেল ৫টা নাগাদ বেরোলাম। আগামী শুক্রবার কাঁথি প্রভাতকুমার কলেজ মামলায় আমাকে ডেকেছে। তদন্তকারীদের সবরকম সহযোগিতা করছি।” তবে সৌমেন্দুকে কিছুটা খোঁচার সুরেই এদিন বলতে শোনা গিয়েছে, “আমি ৩০ শে ডিসেম্বর ২০২০ সালে ছেড়ে এসেছি। তারপরে ওই চেয়ারে তিনজন বসেছেন। মামলা হল ২০২২ সালের জুন মাসে। অথচ শুধুমাত্র আমাকেই ডাকা হচ্ছে, অন্যদের ডাকা হচ্ছে না কেন? সবাই সবই বুঝতে পারছেন।”
এদিন হাতে বই নিয়ে এসেছিলেন সৌমেন্দু। কিন্তু তা নিয়ে থানায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সৌমেন্দুর কথায়, “এখানে বই পড়াও মানা, খবরের কাগজ পড়াও মানা। এ সমস্ত বিধি নিষেধ আছে। কোনও দাগী আসামীও তো গল্পের বই, খবরের কাগজ পড়ার সুযোগ পায়। কেন এটা করলেন জানি না। দেখা যাক। আমি তো আদালতকে জানাব অন্তত এটুকু সুবিধাও না পায়। একটা মানুষকে ৮-১০ ঘণ্টা বসে থাকতে গেলে খবরের কাগজ, দু’টো গল্পের বইও যদি রাখতে না দেওয়া হয় কেমন হয়? কোথায় বাস করছি আমরা?”
কাঁথির মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা বলেন, “সৌমেন্দু অধিকারীকে আইটি রিটার্নের কপি জমা দিতে বলা হয়েছিল। তিনি তা জমা দেননি। তাঁর বিদেশ সফর প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হয়েছিল, সে রকম কিছুই বলেননি।”