পূর্ব মেদিনীপুর: বেশি বাড়াবাড়ি করলে বিরোধী দলনেতার হাত, পাঁজর ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন মন্ত্রী অখিল গিরি (Akhil Giri)। শুক্রবার নন্দীগ্রামে তৃণমূলের অবস্থান থেকে অখিল গিরিকে বলতে শোনা যায়, “নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আমরা বলেছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু বাঁদিকে মাথাটা নাড়বেন, শুভেন্দু অধিকারীর পাঁজর ভেঙে দেব, হাত ভেঙে দেব। কেন্দ্রীয় বাহিনী দেখাচ্ছ? খেজুরি, মুগবেড়িয়া, নন্দীগ্রামের লোক না এনে বাইরে থেকে লোক এনে এখানে মাতব্বরি? আমরা রাস্তায় নামি না বলে, শান্তি চাই বলে?”
ফের উত্তাপ বাড়ছে নন্দীগ্রামে। ১০ নভেম্বর শহিদ তর্পণ কর্মসূচি ঘিরে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে উত্তাপের যে ফুলকি দেখা গিয়েছিল, ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই শুক্রবার তা ভয়াবহ রূপ নিল। তৃণমূলের অনুষ্ঠানমঞ্চের একাংশ কারা যেন পুড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ ওঠে এদিন। এরপরই সাত সকালে কলকাতা থেকে নন্দীগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন সদ্য় জেলার বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কুণাল ঘোষ। সঙ্গে যান মন্ত্রী শশী পাঁজা। নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের গোকুলনগরের করপল্লিতে তেখালি-নন্দীগ্রাম সড়কের উপর অবরোধ-বিক্ষোভ শুরু করেন তৃণমূল ও তৃণমূল সমর্থিত ভূমিউচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির নেতারা।
সেই অবস্থান স্থল থেকেই অখিল গিরি বার্তা দেন, “সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন আছে। কতদিন আমরা সহ্য করব? আমি বলব ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে। তিনদিন সময়। শনি, রবি, সোমবার। মঙ্গলবার দিন গোটা নন্দীগ্রামের মানুষ জমায়েত করে শিক্ষা দেওয়া হবে। আগুন নিয়ে খেলবেন না। আগুন নিয়ে খেললে আমরাও জানি গোটা জেলাতে আটকে দেব তাঁকে।”
এ প্রসঙ্গে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। রাতে ওদের মঞ্চে আগুন লাগার দৃশ্য দেখে আমাদের ছেলেরা যখন ওই আগুন নেভাতে ব্যস্ত, তখন এত হইচই চিৎকারের মধ্যেও একজন তৃণমূল কর্মী সমর্থক বেরিয়ে আসেননি। আমি বলছি পুলিশ তদন্ত করুক, জেরা করুক সবাইকে। আসল সত্য বেরিয়ে আসবে।”