AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Haldia: শ্যামল আদককে নিয়ে সুতাহাটা বাজারে পুলিশ, বিজেপি বলছে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’

Purba Medinipur: এদিন শ্যামল আদক কিছু না বললেও আগের দিনই আদালতে তিনি বলেন, 'সত্যমেব জয়তে'।

Haldia: শ্যামল আদককে নিয়ে সুতাহাটা বাজারে পুলিশ, বিজেপি বলছে 'রাজনৈতিক প্রতিহিংসা'
সুতাহাটা বাজার এলাকায় পুলিশ। সঙ্গে শ্যামল আদক।
| Edited By: | Updated on: Dec 20, 2022 | 5:57 AM
Share

পূর্ব মেদিনীপুর: একই কাজের জন্য একাধিকবার টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে হলদিয়ার (Haldia) প্রাক্তন পুরপ্রধান শ্যামল আদকের (Shyamal Adak Arrest) বিরুদ্ধে। তাঁকে গ্রেফতারও করে সুতাহাটা থানার পুলিশ। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই গ্রেফতার হন শ্যামল। আপাতত পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন তিনি। তদন্তের স্বার্থে তাঁকে নিয়ে সোমবার সুতাহাটা বাজারে যান তদন্তকারীরা। এদিন সন্ধ্যায় পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে সুতাহাটা বাজার লাগোয়া এলাকা খতিয়ে দেখে পুলিশ। বেআইনি নির্মাণ এবং তাতে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ, সরকারি জমিতে অনুমতি না নিয়ে নয়ানজুলি ভরিয়ে সুতাহাটা বাজার লাগোয়া অটো-টোটো স্ট‍্যান্ড তৈরি করা হয়েছে। একইসঙ্গে কিছু স্টল তৈরির প্রকল্পে দু’বার টাকা খরচ দেখানোর অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সত‍্যব্রত দাস এবং কায়ম মল্লিক নামে এক ঠিকাদার জেল হেফাজতে আছেন। সূত্রের খবর, সেই ঘটনায় শ‍্যামলের যোগ রয়েছে বলে পুলিশের হাতে তথ‍্য প্রমাণ উঠে এসেছে। তারই প্রেক্ষিতে পুলিশি জেরা পর্বে প্রাক্তন পুরপ্রধানকে নিয়ে ওই বাজার ঘুরে দেখে পুলিশ।

এই শ্যামল আদক শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বলেই ইঙ্গিত তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি আনন্দময় অধিকারীর বক্তব্যে। আনন্দময় বলেন, “শ্যামল আদক যতদিন তৃণমূলের সঙ্গে ছিল ততদিন তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। শ্যামল বিজেপিতে গিয়েছে, অনেক রকমের অভিযোগই এখন আনবে। এটা নিয়ে আমরা বিচলিত নই। ভারতীয় জনতা পার্টিতে যারাই তৃণমূল থেকে যাবে তাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ, অনেক কিছু হবে। শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে যারা বিজেপিতে গিয়েছে, শুভেন্দুর কাছের লোককে কীভাবে প্যাঁচে ফেলা যায় তার জন্য তৃণমূল প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উঠেছে। তবে শুভেন্দু অধিকারীকে এভাবে আটকানো যাবে না। ভোটাররা সব দেখছেন। আমরা বিজেপি এ নিয়ে বিচলিত নই।”

অন্যদিকে শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে যিনি অভিযোগ জানিয়েছিলেন সেই কমলেশ চক্রবর্তীর বক্তব্য, “বিজেপির অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। আমি কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেছিলাম। একই কাজকে দু’বার দেখিয়ে টাকা নেওয়া হয়েছে। এটা তো জানি বলে। কানে আসে এরকম আরও বহু ঘটনা রয়েছে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্কই নেই। নির্দিষ্ট অভিযোগ করেছি, পুলিশ তার তদন্ত করেছে। দেশে আইন বিচারব্যবস্থা আছে, বিচার হচ্ছে। এতে রাজনীতির তো কিছুই নেই। আর উনি এমন কেউ নন, যে ওনাকে জব্দ করতে রাজনৈতিক কৌশল নিতে হবে। অন্যায় করলে শাস্তি তো পেতেই হবে। রাজনীতির এখানে জায়গাই নেই।”