পূর্ব মেদিনীপুর: দুয়ারে রেশনের পরিবর্তে রেশন ডিলারের বাড়ি থেকে আনতে হচ্ছে রেশন। তাও আবার ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার পর পাওয়া যাচ্ছে। রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন রেশন গ্রাহকরা। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা-১ ব্লকের ঘটনা। এখানকার শ্রীনগরের রেশন ডিলার শক্তি চৌধুরীর বিরুদ্ধে একের পর এক ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রেশন গ্রাহকরা। রেশন গ্রাহকদের অভিযোগ, শক্তি চৌধুরী বেশ কয়েক মাস ধরেই দুয়ারে রেশন দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। রেশন নিতে এলেও লাইনে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ সময় কেটে যায়। এ প্রসঙ্গে বিডিও রথীন্দ্রনাথ অধিকারী বলেন, “পরশুদিনই আমরা একটা অভিযোগ পেয়েছি। তাঁর বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব। কোনওভাবে দুয়ারে রেশন প্রকল্প ব্যাহত না হয়, আমরা কঠোর পদক্ষেপ করব। এ নিয়ে খাদ্য দফতরের যিনি ইন্সপেক্টর আছেন, তাঁকেও তদন্ত করে দেখতে বলেছি। কোনওভাবেই সরকারি নিয়মের অন্যথা করা যাবে না। দুয়ারে রেশন দিতে হবে।”
রেশন ডিলারদের একাংশের অভিযোগ, সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলার জন্য সমস্যায়ও পড়তে হতে পারে তাঁদের। অন্যদিকে অভিযুক্ত রেশন ডিলারের সাফাই, তাঁর বাড়িতে কিছু সমস্যার কারণে এই মাসটা তিনি যেতে পারছেন না। পরের মাসে আবারও গ্রামে গ্রামে গিয়ে রেশন দেবেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রেশন গ্রাহক বলেন, “রেশন দোকান থেকে আমার বাড়ি প্রায় ৩ কিলোমিটার। সরকার নাকি দুয়ারে রেশন দেবে। এই তো লাইনে বসে আছি সকাল থেকে এসে। সরকার চালু তো অনেক কিছুই করে। কিন্তু তার প্রতিফলন কতটুকু হয়? রেশন ডিলারকে বলতেই বলছে, ‘এটাও তো দুয়ার। এই তো দুয়ারে রেশনই দিচ্ছি। আবার কী সমস্যা’?”
আরেক রেশন গ্রাহক তপন দাস বলেন, “মাস দু’ তিনবার আগে তাও এক-দু’বার গিয়েছিল। এখন সেসব বন্ধ। আঙুলের ছাপটুকু নিতে যেত। এখন তাও যান না। এখানে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকি। ইচ্ছামতো রেশন দেয়। রেশন ডিলারকে বললে কোনও কথা কানেই তোলে না।” রেশন ডিলার শক্তি চৌধুরীর অবশ্য বক্তব্য, “আমার বাড়িতে একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাই আমি এবার বাড়ি বাড়ি দিতে পারছি না। সেটা গ্রামে জানিয়েছি। এবারই এরকম হচ্ছে। এরপরের মাস থেকে গ্রামে গ্রামে যেভাবে গিয়ে সামগ্রী দেওয়া হয়, সেভাবেই দেব।”