TMC Leader: পঞ্চায়েত ভোটে কীভাবে জয় তৃণমূলের, ভরা সভায় ফাঁস করলেন দাপুটে তৃণমূল নেতা…

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jun 02, 2022 | 6:34 PM

Purba Medinipur: বুধবার সন্ধ্যায় পটাশপুর-১ ব্লকের গোয়ালদা এলাকায় তৃণমূলের একটি দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধন ছিল। সেখানেই বক্তব্য রাখতে ওঠেন পটাশপুর-১ ব্লকের তৃণমূল ব্লক সভাপতি পীযূষকান্তি পণ্ডা।

TMC Leader: পঞ্চায়েত ভোটে কীভাবে জয় তৃণমূলের, ভরা সভায় ফাঁস করলেন দাপুটে তৃণমূল নেতা...
পটাশপুরের তৃণমূল নেতা পীযূষকান্তি পণ্ডা।

Follow Us

পূর্ব মেদিনীপুর: দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধন। সেখানেই একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করতে শোনা গেল তৃণমূলের দাপুটে নেতাকে। পঞ্চায়েতে কোন কৌশলে জয়, কেনই বা ২০১৯, ২০২১-এ খারাপ ফল, দলীয় কার্যালয়ে কী কী কুকর্ম চলে সমস্ত কিছুই প্রকাশ্য সভায় উগরে দিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের তৃণমূল নেতা পীযূষকান্তি পণ্ডা। তিনি পটাশপুর-১ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি। তাঁর এই বক্তব্য ঘিরে চাপানউতর তৈরি হয়েছে জেলায়। বিজেপি এই বক্তব্যকে ইস্যু করে শাসকদলকে যেমন বিঁধছে, তেমনই তৃণমূলের দাবি, পীযূষকান্তির বক্তব্য দলের কর্মীদের সচেতন করার জন্য। এ নিয়ে অকারণ জলঘোলার কোনও প্রয়োজন নেই।

বুধবার সন্ধ্যায় পটাশপুর-১ ব্লকের গোয়ালদা এলাকায় তৃণমূলের একটি দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধন ছিল। সেখানেই বক্তব্য রাখতে ওঠেন পটাশপুর-১ ব্লকের তৃণমূল ব্লক সভাপতি পীযূষকান্তি পণ্ডা। বলেন, “পঞ্চায়েতের ভোট পুলিশ দিয়ে হয়েছিল, আমরা জিতেছিলাম। গত ২০১৯ আর ২০২১ সালের ভোট কেন্দ্রীয়বাহিনী দিয়ে হল, আমরা হারলাম। আমাদের লোকই হারিয়ে দিল। আমাদের কিছু লোক এখানে ভাল কাজ করেননি, তাই ব্যালটে জবাব পেয়েছেন। কতিপয় ব্যক্তির কারণে আমরা হারলাম।”

একইসঙ্গে পীযূষকান্তি দাবি করেন, “কিছুদিন আগে শুনলাম এখানে তেল চুরি শুরু হয়েছে, মদের কারবার শুরু হয়েছে। বেআইনি মদ বিক্রিতে আমাদের কিছু লোক জড়িয়ে আছে। পুলিশ পয়সা খাচ্ছে। পুলিশের কিছু লোক আছে এটা আমি সরাসরিই বলছি। এই যে এলাকায় এসব চলছে, তাতে তো ভাল হবে না। গোয়ালদা আমরা এমনিতে জিতে যাই। কিন্তু আজকে আমরা হারছি কারণ ব্যবহার। ওদের জন্যই ভোটটা কমে। পার্টি অফিস মানে মন্দির। মন্দিরে কোনও অপকর্ম করা যাবে না। আগে দেখেছি পার্টি অফিসে মদ খেত। আরও বহু অপকর্ম হত। মন্দিরে খারাপ কাজ করলে সেখানে কি ভগবান থাকবে?”

তৃণমূল নেতার এমন বক্তব্যকে হাতিয়ার করে ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমেছে বিজেপি। কাঁথি সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি সুদাম পণ্ডিত বলেন, “ধীরে, ধীরে ঝুড়ি থেকে বিড়াল বের হচ্ছে। পাপ বাপকেও ছাড়ে না। এখন তো প্রকাশ্য মঞ্চ থেকেই তৃণমূল নেতারা এসব বলছেন। আসলে তৃণমূল মানে তো কাটমানি আর কাটমানি।” যদিও এগরার বিধায়ক তথা কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তরুণকুমার মাইতির বক্তব্য, “ওই নেতা আমাদের দলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নেতা। উনি যা বলেছেন মূলত তা দলীয় কর্মীদের সাবধান করার জন্য বলেছেন। যাতে আমাদের দলের কর্মীরা কোনও অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত না হন। এমন কিছু যাতে না করা হয় যার জন্য ভোটের সময় মানুষ আমাদের দূরে ঠেলে দেন।”

Next Article