Purba Medinipur: শ্বশুর বাড়ির সামনে ধর্নায় বসলেন নৌসেনা কর্মীর স্ত্রী, পুলিশও নেমেছে তদন্তে

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Dec 21, 2022 | 11:56 AM

Purba Medinipur: সন্তানকে নিতে গিয়ে তিনি দেখেন শ্বশুর বাড়ির লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। গত মার্চ মাসে পুলিশ নিয়ে মুম্বইতে গিয়েছিলেন বলেও জানান ওই মহিলা।

Purba Medinipur: শ্বশুর বাড়ির সামনে ধর্নায় বসলেন নৌসেনা কর্মীর স্ত্রী, পুলিশও নেমেছে তদন্তে
ধর্নায় বসেছেন মা

Follow Us

পূর্ব মেদিনীপুর: সন্তানকে মায়ের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ তুলে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্নায় বসলেন নৌসেনা কর্মীর স্ত্রী। যতক্ষণ না সন্তানকে ফিরে পাচ্ছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত ধর্না চালিয়ে যাবেন বলে দাবি করেছেন ওই মহিলা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক থানায় গণপতিনগর গ্রামের ঘটনা। মঙ্গলবার থেকেই শ্বশুরবাড়ির গেটের সামনে বসে রয়েছেন তিনি। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর এলাকায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। মহিলার দাবি, সন্তান কোথায় আছে সেটাও জানেন না তিনি।

সূত্রের খবর, ২০১৫ সালে নন্দকুমার থানার বেতকল্লা গ্রামের লাবনী মহাপাত্র নামে ওই মহিলার সঙ্গে তমলুক থানার গণপতিনগর গ্রামের হরেকৃষ্ণ সামন্তর বিয়ে হয়। হরেকৃষ্ণ সামন্ত মুম্বইতে নৌসেনায় কর্মরত। স্ত্রীকে নিয়ে নাকি মুম্বইতেই থাকতেন তিনি। স্ত্রীকে মারধর করার অভিযোগও জানিয়েছে মহিলার পরিবার। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে দুজনের মধ্যে সন্তান মনোমালিন্য শুরু হয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে লাবনীকে তাঁর বাবার বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে যান হরেকৃষ্ণ। পরে লাবনী জানতে পারেন যে তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে এবং কাগজপত্র নাকি তিনি না বুঝেই সই করে ফেলেছেন।

লাবনী সামন্ত বলেন, ‘ধর্নায় বসেছি ছেলেকে ফিরে পাওয়ার জন্য। মারাঠি ভাষা আমি কিছুই বুঝতাম না। আমার সন্তানকে ছাদ থেকে ফেলে দেবে বলে হুমকি দিয়ে কাগজে সই করিয়েছে। মারধর করে আমাকে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে।’ তিনি জানান, ইতিমধ্যে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। সন্তানকে নিতে গিয়ে তিনি দেখেন শ্বশুর বাড়ির লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। গত মার্চ মাসে পুলিশ নিয়ে মুম্বইতে গিয়েছিলেন বলেও জানান ওই মহিলা। সেখানেও কাউকে পাওয়া যায়নি। তাঁর দাবি, সম্প্রতি ওই বাড়িতে ফিরেছেন তাঁর শ্বশুর। বাড়ির মধ্যেই রয়েছেন তিনি। সে কারণেই এই ধরনা।

লাবণী সামন্তের বাবা সুজিত মহাপাত্র জানান, আট বছর আগে মেয়ের বিয়ে হয়েছিল। নাতিকে ফিরে পাওয়ার জন্যই মেয়ে ধর্নায় বসেছেন বলে জানান তিনি।

স্থানীয় এক প্রতিবেশী সুব্রত সিং বলেন, মানুষ হিসেবে ওই পরিবার খুব একটা ভাল নয়। তাঁরাও শুনেছেন, জোর করে ওই মহিলাকে বিচ্ছেদের কাগজপত্রে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছে।

Next Article