Jhalda TMC: পঞ্চায়েতের ভোটের আগে ধাক্কা ঘাসফুল শিবিরে, অভিমানে দল ও পদ ছাড়লেন ঝালদা তৃণমূলের সহ সভাপতি
Jhalda: রাজেশ রায়ের অভিযোগ, কয়েকদিন আগে জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতোর সঙ্গে তাঁর একটি ছবি ভাইরাল হয়।
ঝালদা:ফের খবরের শিরোনামে ঝালদা পুরুলিয়ার (Jhalda)। দল ও নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ঝালদা শহরের তৃণমূল কংগ্রেস সহ সভাপতি রাজেশ রায়। দলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন এ দিন। তাঁর দাবি, তৃণমূলে তাঁকে অসম্মান করা হচ্ছে সেই কারণে আর তিনি দলে থাকছেন না।
কী ঘটেছে?
রাজেশ রায়ের অভিযোগ, কয়েকদিন আগে জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতোর সঙ্গে তাঁর একটি ছবি ভাইরাল হয়। এরপর থেকেই তৃণমূল থেকে তাঁকে দলবিরোধী বলে প্রচার করা হতে থাকে। যদিও রাজেশবাবু জানিয়েছেন নেপাল মাহাত তাঁর শিক্ষক। সেই কারণে তাঁকে সম্মান করেন। এতে দলে বিরোধিতার কোনও বিষয় নেই।
রাজেশ রায়ের দাবি, এ নিয়ে যাবতীয় তথ্য তিনি তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়েছিলেন। তারপরও সমানে তাঁকে অসম্মান করা হতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে তিনি আর তৃণমূলে থাকছেন না। তাঁর ইস্তফাপত্র তিনি দলীয় নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন বলেন জানান তিনি।
রাজেশ রায় বলেন, “মাস তিন চারেক আগে আমায় কোনও কারণ না জানিয়ে দল থেকে শোকজ করে দেয়। আমি চিন্তিত ছিলাম কী কারণে শোকজ করল। জেলা সভাপতিকে জিজ্ঞাসা করলাম। কোনও উত্তর পাইনি। পরে অন্য একজনের থেকে জানতে পারি আমি নাকি দল বিরোধী কাজ করেছি। আমার সঙ্গে নেপালবাবুর ছবি ভাইরাল হয়েছে। তবে নেপালবাবু আমার শিক্ষক। উনি প্রাক্তন বিধায়ক। ওনার সঙ্গে আমার শুধু রাজনীতির সম্পর্ক নয়। আমি এমএ করছি। মাইগ্রেসন নিতে রবীন্দ্রভারতীতে গিয়েছিলাম। সেই সুবাদে ওনার সঙ্গে কলকাতায় দেখা হয়। সেই দেখার কারণে শোকজ করা হবে ভাবিনি। দলকে উত্তরও দিয়েছে। ইতিমধ্যে দলের অনুষ্ঠান হয়েছে। অন্যায়ভাবে বন্ধ করে যায়। এরপরই লিখিত আকারে দলত্যাগের সিদ্ধান্ত জেলা সভাপতিকে জানিয়েছি।”