Jhalda Councillor Murder: ব্যাঙ্ক থেকে টাকা লেনদেন? ঝালদার কাউন্সিলর খুনে নরেন কান্দুর স্ত্রীকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

May 08, 2022 | 6:56 PM

CBI in Purulia: রবিবার দুপুর প্রায় সাড়ে তিনটে নাগাদ ঝালদায় সিবিআইয়ের অস্থায়ী অফিসে যান তিনি। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ সিবিআই অফিস থেকে বেরোন বাবি কান্দু।

Jhalda Councillor Murder: ব্যাঙ্ক থেকে টাকা লেনদেন? ঝালদার কাউন্সিলর খুনে নরেন কান্দুর স্ত্রীকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের
তপন কান্দু খুনের তদন্তে সিবিআই

Follow Us

ঝালদা : ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় এবার তদন্তের জাল গোটাতে শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। রবিবার দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের ঝালদায় সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসে ডেকে পাঠানো হয় ধৃত নরেন কান্দুর স্ত্রী বাবি কান্দুকে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার জন্য দ্বিতীয় বার ডাকা হল নরেন কান্দুর স্ত্রীকে। রবিবার দুপুর প্রায় সাড়ে তিনটে নাগাদ ঝালদায় সিবিআইয়ের অস্থায়ী অফিসে যান তিনি। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ সিবিআই অফিস থেকে বেরোন বাবি কান্দু। সূত্রের খবর, ব্যাঙ্ক থেকে টাকা লেনদেন সম্পর্কিত কোনও তথ্য জানতেই ডাকা হয়েছিল বাবি কান্দুকে। তবে ঠিক কী কারণে তাঁকে ডাকা হয়েছিল, তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি নরেন কান্দুর স্ত্রী।

তবে সিবিআইয়ের এই জিজ্ঞাসাবাদ প্রসঙ্গে মৃত কংগ্রেস  কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু সিবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা যেভাবে বিভিন্ন জনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে, তাতে তিনি খুশি। উল্লেখ্য, পূর্ণিমা কান্দু শুরু থেকেই ঘটনায় পুলিশের জড়িত থাকার অভিযোগ তুলছিলেন এবং স্বামীর মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি তুলছিলেন। পরবর্তী সময়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তপন কান্দু খুনের তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে।

এদিকে তপন কান্দুর দাদা নরেন কান্দুই তাঁকে খুনের চক্রান্ত করেছিল বলে একটি তত্ত্ব উঠে আসছে। ভাইকে খুন করতে তিনিই নাকি ভাড়াটে খুনি লাগিয়েছিলেন, এমন কথাও শোনা যাচ্ছে। সেই সব বিষয়গুলিকেই আরও বিশদে তদন্ত করতে চাইছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তবে এই নরেন কান্দু এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। আর ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় শুরু থেকেই একটি রাজনৈতিক অঙ্ক রয়েছে বলে অভিযোগ তুলছিলেন বিরোধীরা। কারণ, ঝালদা পুরসভার ভোটে ত্রিশঙ্কু হয়ে গিয়েছিল। কংগ্রেস ও তৃণমূল উভয়েই পাঁচটি করে আসন পেয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে তপন কান্দুকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য স্থানীয় আইসি চাপ দিচ্ছিল বলে অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস কাউন্সিলরের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু।

Next Article