Jhalda Councillor Death: তপন কান্দু খুনে আবারও আইসি-কে তলব সিবিআই-এর

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

May 09, 2022 | 2:30 PM

Jhalda Councillor Death: ঝালদার কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠে আসছে একের পর এক প্রশ্ন।

Jhalda Councillor Death: তপন কান্দু খুনে আবারও আইসি-কে তলব সিবিআই-এর
ফের ঝালদা থানার আইসি-র ফের সিবিআই হাজিরা

Follow Us

পুরুলিয়া: ঝালদা পৌরসভার কাউন্সিলার তপন কান্দু হত্যা মামলায় আবার আইসি-কে ডেকে পাঠাল সিবিআই। কিছুক্ষণ আগেই একটি বোলেরো গাড়িতে করে ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষকে সিবিআই ঝালদা বনদফতরের বাংলোয় অস্থায়ী ক্যাম্পে ঢুকতে দেখা গিয়েছে। সাদা পোশাকেই তিনি সিবিআই ক্যাম্পে এসেছিলেন। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, তাঁকে এখনও জেরা করা হচ্ছে। পন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু প্রথম থেকেই এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করে আসছিলেন। পুলিশের তরফ থেকেও তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করছিলেন তিনি। আইসি-র বিরুদ্ধেই নির্দিষ্ট করে অভিযোগ ছিল তাঁর। পুরভোটে তপন কান্দু জিতলেও, আইসি তাঁকে বারবার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টেও এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তাই সিবিআই তদন্ত নেওয়ার পরই প্রথমে এই আইসি-কেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়।

ঝালদায় কাউন্সিলর খুনের তদন্তে টেকনিক্যাল এক্সপার্টের সাহায্য নিয়েছে সিবিআই। ঝালদাতে নিয়ে আসা হয়েছে তিন বিশেষজ্ঞকে। যারা অভিযুক্ত ও সন্দেহের তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের কল ডিটেইলস খতিয়ে দেখা হয়।

ঝালদার কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠে আসছে একের পর এক প্রশ্ন। সিবিআই তদন্তে উঠে এসেছে, মাঝরাস্তায় তপন কান্দু গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, এ খবর পুলিশের কাছে পৌঁছে যায় আগেই। তবুও সব শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে সেসময় যায়নি। ঘটনাস্থলের খুব কাছে ৪০০ মিটার দূরেই ছিল ঝালদা থানার আরটি ভ্যান। সেখানেই প্রথম খবর আসে কাউন্সিলরের গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি। কিন্তু সব জেনেও ওই আরটি ভ্যানের দায়িত্বে থাকা এক  সাব ইন্সপেক্টর গাড়ি নিয়ে সেখানে যাননি। কাউকে পাঠানোর কথাও বলেননি। এমনকি আরটি ভ্যানের কোনও সদস্য যাতে সেখানে না যান,তার জন্য শাসানি দেন বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত ওই গাড়ির কেউ যাননি। ক্লোজ হওয়া পুলিশকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। তদন্তকারীদের দাবি, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একাধিক জায়গায় ধন্দ রয়েছে। সেই সংক্রান্ত বহু তথ্য ইতিমধ্যেই তাঁদের হাতেও এসেছে।

সিবিআই জানাচ্ছে, তপন গুলিবিদ্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে, তাঁকে আগেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হত। সেক্ষেত্রে প্রাণ বাঁচানো যেত বলেও মনে করছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলের এতটাই কাছে ছিল, যে তখনই গেলে হয়তো দুষ্কৃতীদের হাতেনাতে ধরা যেত। ঝালদা খুনের তদন্তেও নমুনা সংগ্রহের জন্য সিএফএসএল-এর সাহায্য নেয় সিবিআই।

Next Article