Cholera in Purulia: বাড়িতে বাড়িতে পেটে ব্যথা-বমি! বাংলার একটা আস্ত গ্রাম ঢেকেছে ‘ভয়ে’, আক্রান্ত শতাধিক
Cholera in Purulia: তাদের বেশ কিছু কালচারাল টেস্টের পর নমুনা সংগ্রহ করে তা পাঠানো হয় বাঁকুড়ায়। সেখানেই ধরা পড়ে ওই রোগীরা কলেরায় আক্রান্ত। এরপরেই এক এক করে হাসপাতালে বাড়তে থাকে রোগীর সংখ্যা। যা বেড়ে পৌঁছে যায় ১২১-এর গন্ডিতে।

পুরুলিয়া: এ যুগে পৌঁছেও যে এই রোগের প্রকপ কমেনি, তাতে আশ্চর্য একাংশ। একটা গোটা গ্রাম এখন কলেরায় আক্রান্ত। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্তের সংখ্যা কমপক্ষে ১২১ জন। বসেছে স্বাস্থ্য শিবির। ব্লকে ব্লকে বসানো হয়েছে পানীয় জলের ট্যাংকার।
ঘটনা পুরুলিয়ার বলরামপুর ব্লকের রাপকাটা গ্রামের। সেখানকার মোট বাসিন্দা ৪০০ জন। যার মধ্য়ে কলেরায় আক্রান্ত হয়েছেন ১২১ জন। গ্রামবাসীদের দাবি, একজনের আবার মৃত্যুও হয়েছে। ইতিমধ্যেই বসানো হয়েছে স্বাস্থ্য শিবির। গ্র্রামে গ্রামে পরিদর্শনের কাজে বেরিয়েছেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-সহ ব্লক প্রশাসনের কর্তারা।
গত ১১ই জুলাই সর্বপ্রথম বেশ কয়েকজন রোগী পেটে যন্ত্রণা ও বমি-সহ একাধিক উপসর্গ নিয়ে স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর তাদের বেশ কিছু কালচারাল টেস্টের পর নমুনা সংগ্রহ করে তা পাঠানো হয় বাঁকুড়ায়। সেখানেই ধরা পড়ে ওই রোগীরা কলেরায় আক্রান্ত। এরপরেই এক এক করে হাসপাতালে বাড়তে থাকে রোগীর সংখ্যা। যা বেড়ে পৌঁছে যায় ১২১-এর গন্ডিতে।
এখনও পর্যন্ত ওই গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩০ জন রোগী। এরই মধ্যে আবার বলরামপুরের গ্রামীণ হাসপাতালে কলেরার উপসর্গ নিয়ে গত ১৯ জুলাই ভর্তি হন চক্রধর গরাঁই নামে এক বছর পঞ্চাশের স্থানীয় বাসিন্দা। তবে পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে শরীর একটু সুস্থ হতে পরিবারের লোকজন তাকে বাড়ি নিয়ে চলে আসে। এরপর দিন কয়েক কাটতেই মৃত্যু হয় তার। তবে মৃত্যুর কারণ কলেরা নয় বলেই দাবি জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের। অন্যদিকে গ্রামবাসীদের দাবি, কলেরার কারণেই হয়েছে।
কিন্তু কলেরার প্রকোপ হঠাৎ বাড়ল কীভাবে?
এটি একটি জলবাহিত রোগ। আর সেই গ্রামে পানীয় জলের ঠিকানা বলতে হাতেগোনা কয়েকটি টিউবওয়েল। যার মধ্য়ে দু’টিকে চিহ্নিত করে গ্রামবাসীদের তা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, গ্রামের বেশির ভাগ বাড়িতে শৌচালয় থাকলেও সেই সব ব্যবহারের কোনও বালাই নেই।

