পুরুলিয়া: ২৪ জানুয়ারি থেকে ফের চালু হচ্ছে দুয়ারে সরকার। চলবে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। চূড়ান্ত তৎপরতা প্রশাসনের অন্দরে। কিন্তু, এত আয়োজনের পরেও কাজের কাজ হচ্ছে কী? প্রশ্ন তুলছেন পুরুলিয়ার আড়ষা ব্লকের করনডি গ্রামের বাসিন্দারা। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে এক অসহায় অসুস্থ বৃদ্ধা তার সন্তানকে নিয়ে গ্রামের পরিত্যক্ত উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বসবাস করছেন। তিনি বলছেন, এর আগে দুয়ারে সরকার থেকেই তিনি তিনি দু’বার আবাসের ঘরের জন্য আবেদন করেছেন। কিন্তু, কাজ কিছুই হয়নি।
করনডি গ্রামে থাকেন ওই বৃদ্ধা কল্যাণী মুখোপাধ্যায় এবং তাঁর ছেলে দুলাল মুখোপাধ্যায়। স্বামী মারা গিয়েছেন অনেকদিন আগেই। আগে গ্রামের মধ্যেই মাটির বাড়িতে থাকতেন তাঁরা। কিন্তু, প্রবল বৃষ্টিতে সেই ঘরও মাটিতে মিশে গিয়েছে। শেষে গ্রামের বাসিন্দারাই পরিত্যক্ত উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করে দেন। তারপর থেকেই অন্ধকার, অপরিচ্ছন্ন সেই আস্তানেই কোনওরকমে দিন গুজরান করছেন মা-ছেলে।
টাকার উৎস শুধু বার্ধক্য ভাতার টাকা! সঙ্গে ছেলে টিউশন পড়িয়ে যেটুকু আয় করেন তা দিয়ে কোনওমতে চলে সংসার। গ্রামের সকলেই চাইছেন, দুঃস্থ এই পরিবারের জন্য একটা ঘরের ব্যবস্থা করে দিক প্রশাসন। মাথা গোঁজার আশ্রয়টুকু দিক। গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যের স্বামী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের অনেকেই বলছেন আবাস যোজনায় এমন কিছু মানুষ ঘর পেয়েছেন যাদের দোতালা বাড়ি রয়েছে। কিন্তু, কল্যাণী দেবীর মতো সত্যিই যাঁদের ঘরের প্রয়োজন রয়েছে তাঁরা বঞ্চিত হচ্ছেন। ঘটনার কথা কানে যে গিয়েছে তা মানছেন বিজিও নিজেও। অল্প হলেও ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাপানউতোর চলছে রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূল নেতা তথা দলের জেলা সহ-সভাপতি সুশেন মাঝি বলছেন, “আমি এই বিষয়ে আগের বিডিওর সঙ্গে কথা বলেছিলাম। কিন্তু, ২০১৮ সালের তালিকা ধরে টাকা দেওয়া হচ্ছে। ওই তালিকায় এই পরিবারের নাম নেই।”