Purulia: নির্দল কাউন্সিলরের স্বামীর বিড়ি কারখানায় হানা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের, ‘তৃণমূল ছাড়তেই পুলিশ এল’, তোপ কংগ্রেসের

Purulia: “এটা পুরোপুরি রাজনৈতিক ব্যাপার। শীলা চ্যাটার্জি বর্তমানে নির্দল হয়ে কংগ্রেসের কাউন্সিলরদের সঙ্গে কাজ করছেন। তাই এই কাজ।” প্রতিক্রিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতোর।

Purulia: নির্দল কাউন্সিলরের স্বামীর বিড়ি কারখানায় হানা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের, ‘তৃণমূল ছাড়তেই পুলিশ এল’, তোপ কংগ্রেসের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 13, 2022 | 7:09 PM

ঝালদা: ঝালদার (Jhalda) ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর শীলা চ্যাটার্জি কয়েকদিন আগেই তৃণমূল (Trinamool Congress) ছাড়েন। যা নিয়ে পুরুলিয়ার রাজনৈতিক মহলে বিস্তর চর্চা হয়েছিল। এবার সেই শীলা দেবীর স্বামীর বিড়ি কারখানায় হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। জানা গিয়েছে শনিবার ঝালদা শহরের সি সি হালদার রোডের শ্রী বিনায়ক বিড়ি কারখানায় হানা দেন ডিস্ট্রিক্ট এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ অধিকারিকরা। তবে সে সময়  শীলা চ্যাটার্জির স্বামী কালীপদ চ্যাটার্জি কারখানায় উপস্থিত ছিলেন না। এর পিছনে রাজনৈতিক ইন্ধন রয়েছে বলে দাবি কংগ্রেসের। 

প্রসঙ্গত, ১২ ওয়ার্ডের ঝালদা পৌরসভায় এবার জয়ী হন তৃণমূলের ৫, কংগ্রেসের ৫ ও দুইজন নির্দল কাউন্সিলর। এদের মধ্যে নির্দল কাউন্সিলর শিলা চ্যাটার্জি তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে পৌর বোর্ড দখল করে তৃণমূল। হঠাৎ দিন কয়েক আগে শহরে উন্নয়ন করা যাচ্ছে না এমন অভিযোগে শীলা চ্যাটার্জী তৃণমূল ত্যাগ করে পুনরায় নির্দল হন। কংগ্রেসের দাবি, তৃণমূল ত্যাগের কারণেই শাসক শিবিরের নেতাদের গোঁসা হয়েছে। আর সে কারণেই আচমকা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের হানা। ঘটনা প্রসঙ্গে কালীপদ চ্যাটার্জি বলেন, “ঝালদায় আর কোনও কারখানায় এরকম রেড হয়নি। আমার মনে হচ্ছে আমাদের কারখানা বন্ধ করার জন্য এসব হচ্ছে। আমাদের কারখানায় প্রায় তিন-সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক কাজ করেন।”

তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো বলেন, “এটা পুরোপুরি রাজনৈতিক ব্যাপার। শীলা চ্যাটার্জি বর্তমানে নির্দল হয়ে কংগ্রেসের কাউন্সিলরদের সঙ্গে কাজ করছেন। তৃণমূলের বোর্ডকে সরানোর চেষ্টা হচ্ছে। তাই তাঁকে হেনস্থা করতে, ভয় দেখাতেই এই কাজ করছে। আমার কাছে খবর আছে কেউ উড়ো চিঠি দিয়েছিল। তাতে জানায় কারখানায় মাদক দ্রব্য আছে। সেই উড়ো চিঠির ভিত্তিতেই তি-চার গাড়ি পুলিশ চলে এল। তবে তাঁরা কোনও সিজার লিস্ট দেয়নি। কেনও এসেছিল সেসব ব্যাপারেও কোনও কাগজ দেয়নি। কালিপদবাবু ছিলেন না। থাকলে হয়তো অন্য কেস দিত। আমরা হাইকোর্টে বিষয়টি জানাব।” অন্যদিকে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন “এসব একেবারে ভিত্তিহীন কথা। প্রশাসন তাদের মতো কাজ করছে। এখানে তৃণমূলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই।”